শ্রেয়স আইয়ার: জীবন, কেরিয়ার, রেকর্ড এক ঝলকে
পুরো নাম: শ্রেয়স সন্তোষ আইয়ার
জন্ম: ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৪
উচ্চতা: ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি
জাতীয়তা: ভারতীয়
ক্রীড়াবিদ: ডান-হাতি ব্যাটার, ডান-হাতি লেগ ব্রেক বোলার
পরিবার
পিতা: সন্তোষ আইয়ার
মাতা: রোহিণী আইয়ার
শ্রেয়স আইয়ার জন্মগ্রহণ করেছেন মুম্বইয়ে। সেখানকারই ডন বস্কো হাই স্কুল, মাতুঙ্গা এবং রামনিরঞ্জন আনন্দীলাল পোদ্দার কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সে পড়াশোনা করেছেন তিনি।
কেরিয়ারের সূচনা:
শ্রেয়স আইয়ার এক জন ভারতীয় ক্রিকেটার। কিংবদন্তী শিবাজি পার্ক কোচ প্রবীণ আমরের নজরে পড়েন তিনি। তখন শ্রেয়সের বয়স মাত্র ১২ বছর। ক্রিকেটের প্রথম দিকের দিনগুলিতে কোচ প্রবীণের থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মুম্বইয়ে বেড়ে ওঠা এই তরুণ ক্রিকেটার। ২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। তবে প্রিমিয়ার যুব টুর্নামেন্টে তাঁর পারফরমেন্স ছিল অত্যন্ত দুর্বল। সংশোধন করার জন্য ইংল্যান্ডে ট্রেন্ট ব্রিজ ক্রিকেট দলের হয়ে খেলতে যান আইয়ার। সুইঙ্গিং, বাউন্সিং ইংলিশ কন্ডিশন – আইয়ার তাঁর সব ধরন দেখিয়েছেন এই খেলায়। বিজয় হাজারে ট্রফির জন্য ২০১৪ সালে মুম্বই স্কোয়াডে লিস্ট- এ-তে অভিষেক হয় তাঁর। ২০১৪-১৫ রঞ্জি ট্রফি চলাকালীন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এই ম্যাচে সপ্তম সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন শ্রেয়স।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থান:
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে ওডিআই স্কোয়াডে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। যদিও ৯ রানে আউট হয়ে যান আইয়ার। ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওডিআইতে, এক ওভারে ৩১ রান করেন তিনি। ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম সেঞ্চুরি করেন শ্রেয়াস আইয়ার।
আইয়ার ভারতের হয়ে প্রথম টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন ২০১৭ সালে। এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে খেলেন তিনি। এই ক্ষেত্রেও অভিষেক ম্যাচে তিনি ভালো খেলতে পারেননি। এর পরের মাসেই ওয়ান ডে অভিষেকে ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্যাটিং করার সুযোগ পান কিন্তু সেক্ষেত্রেও মাত্র ৯ রান করে আউট হয়ে যান।
ক্লাব ক্রিকেট:
ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ পারফরমেন্সের পর ২০১৫ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলেন তিনি। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত খেলেন তিনি। ২০১৮ সালের আইপিএলে দিল্লির অধিনায়ক ছিলেন গৌতম গম্ভীর। তার পারফরমেন্স খারাপ হওয়ার কারণে মরসুমের মাঝেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন তিনি। ২০১৮ সালে দিল্লির নেতৃত্বের ভার নিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়ক হন শ্রেয়স। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই মাত্র ৪০ বলে ৯৩ রান করেন তিনি।
২০১৯ সালে আইপিএলে শ্রেয়স অধিনায়ক এবং ব্যাটসম্যান হিসেবে খুব ভালো পারফরমেন্স দেখান। নিজে দায়িত্ব নিয়ে দলের হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচে জয়ীও হন। ওই মরসুমে মোট ৪৬৩ রান করেছিলেন তিনি।
২০২২ সালের মেগা অকশনে দিল্লি তাঁকে ছেড়ে দেয়। এর পর কলকাতা নাইট রাইডার্স অনেক দাম দিয়েই শ্রেয়সকে দলে নিয়ে অধিনায়কত্বের ভার দেয়। এই মরসুমে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর শুরুটা ভালো হলেও শেষ অবধি দল প্লে-অফ পর্যন্ত যেতে পারেনি।
রেকর্ড:
২০১৫-১৬ রঞ্জি-তে সর্বোচ্চ রান কেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার।
ভারতের হয়ে ওডিআই-এ এক ওভারে সর্বাধিক রানের রেকর্ড রয়েছে তাঁর।
দিল্লি ক্যাপিটালসের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
পুরস্কার:
২০১৫ আইপিএল-এ উদীয়মান খেলোয়াড় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে শ্রেয়স আইয়ার।