Shreyas Iyer Injury : শ্রেয়স আইয়ারের ক্রিকেট কেরিয়ার কি শেষ? একটা চোটে আতঙ্কের শেষ নেই, জেনে নিন প্লীহায় আঘাত পেলে কী হয় শরীরে!

Last Updated:
Shreyas Iyer Injury Update- অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে পাঁজরে চোট পান শ্রেয়াস আইয়ার। খেলার মাঠে ক্রিকেটারদের চোট পাওয়া সাধারণ ব্যাপার। তবে শ্রেয়স যেভাবে চোট পান, তাতে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
1/7
একটা মারাত্মক চোট একজন ক্রিকেটারের কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। শ্রেয়স আইয়ারের কেরিয়ারেও কি তা হলে তাই হবে! প্লীহার মারাত্মক চোট কি তবে তাঁকে আর মাঠে ফিরতে দেবে না! এখন এই প্রশ্নই ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের মনে।
একটা মারাত্মক চোট একজন ক্রিকেটারের কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। শ্রেয়স আইয়ারের কেরিয়ারেও কি তা হলে তাই হবে! প্লীহার মারাত্মক চোট কি তবে তাঁকে আর মাঠে ফিরতে দেবে না! এখন এই প্রশ্নই ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের মনে।
advertisement
2/7
বাঁদিকের পাঁজরের নীচের অংশে থাকে প্লীহা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ক্যাচ ধরার সময় পড়ে গিয়ে সেখানেই চোট পান শ্রেয়স। জানা যায়, সেই চোটের কারণে ড্রেসিংরুমে ফিরে তিনি নাকি জ্ঞানও হারান। এর পরই বিসিসিআই চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন।
বাঁদিকের পাঁজরের নীচের অংশে থাকে প্লীহা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ক্যাচ ধরার সময় পড়ে গিয়ে সেখানেই চোট পান শ্রেয়স। জানা যায়, সেই চোটের কারণে ড্রেসিংরুমে ফিরে তিনি নাকি জ্ঞানও হারান। এর পরই বিসিসিআই চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন।
advertisement
3/7
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে পাঁজরে চোট পান শ্রেয়াস আইয়ার। খেলার মাঠে ক্রিকেটারদের চোট পাওয়া সাধারণ ব্যাপার। তবে শ্রেয়স যেভাবে চোট পান, তাতে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এখন প্রশ্ন হল, কবে আবার মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি! এই চোট কি তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে ভোগাবে!
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে পাঁজরে চোট পান শ্রেয়াস আইয়ার। খেলার মাঠে ক্রিকেটারদের চোট পাওয়া সাধারণ ব্যাপার। তবে শ্রেয়স যেভাবে চোট পান, তাতে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এখন প্রশ্ন হল, কবে আবার মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি! এই চোট কি তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে ভোগাবে!
advertisement
4/7
সবার আগে জেনে নেওয়া যাক, প্লীহার কাজ কী?  বাঁ দিকের পাঁজরের কাছে অবস্থিত প্লীহা। এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং পুরনো বা ক্ষতিগ্রস্ত লোহিতকণিকাকে রক্ত থেকে অপসারণ করে। অর্থাৎ এটি শরীরের একরকম ফিল্টারের মতো কাজ করে। লোহিত রক্তকণিকার আয়ু প্রায় ১২০ দিন। এই সময়ের পর প্লীহা সেগুলোকে শরীর থেকে বের করে দেয়।
সবার আগে জেনে নেওয়া যাক, প্লীহার কাজ কী? বাঁ দিকের পাঁজরের কাছে অবস্থিত প্লীহা। এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং পুরনো বা ক্ষতিগ্রস্ত লোহিতকণিকাকে রক্ত থেকে অপসারণ করে। অর্থাৎ এটি শরীরের একরকম ফিল্টারের মতো কাজ করে। লোহিত রক্তকণিকার আয়ু প্রায় ১২০ দিন। এই সময়ের পর প্লীহা সেগুলোকে শরীর থেকে বের করে দেয়।
advertisement
5/7
চোট পাওয়ার পর প্লীহায় আঘাত লেগে কতটা রক্ত বেরিয়েছে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। শ্রেয়সের বাঁ দিকের পাজরে চোট লাগে। আর সেখান থেকে প্লীহায় আঘাত। এমন আঘাতে প্লীহা ফেটেও যেতে পারত। ফলে শ্রেয়সের যে জীবন সংশয় ছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
চোট পাওয়ার পর প্লীহায় আঘাত লেগে কতটা রক্ত বেরিয়েছে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। শ্রেয়সের বাঁ দিকের পাজরে চোট লাগে। আর সেখান থেকে প্লীহায় আঘাত। এমন আঘাতে প্লীহা ফেটেও যেতে পারত। ফলে শ্রেয়সের যে জীবন সংশয় ছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
advertisement
6/7
প্লীহায় আঘাত লাগার পর শ্রেয়সের শরীরের ভেতর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আর সেটাই সব থেকে বিপজ্জনক। ফলে সবার আগে রক্তক্ষরণ বন্ধ করার দরকার ছিল। এক্ষেত্রে রোগীকে আইসিইউতে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দরকারে অস্ত্রোপচার। রক্তপাত বন্ধ হলেও অন্তত এক সপ্তাহ রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
প্লীহায় আঘাত লাগার পর শ্রেয়সের শরীরের ভেতর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আর সেটাই সব থেকে বিপজ্জনক। ফলে সবার আগে রক্তক্ষরণ বন্ধ করার দরকার ছিল। এক্ষেত্রে রোগীকে আইসিইউতে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দরকারে অস্ত্রোপচার। রক্তপাত বন্ধ হলেও অন্তত এক সপ্তাহ রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
advertisement
7/7
প্লীহা পুরোপুরি সেরে উঠতে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই সময় কোনও ভারী কাজ করা যায় না। খাওয়া দাওয়াও করতে হয় নির্দেশ মেনে। তবে প্লীহায় আঘাত লাগা কোনও ব্যক্তি এর পর সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনওরকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় না। আপাতত রোজ স্ক্যান হবে শ্রেয়সের। তাঁর ক্রিকেটে ফিরতে এখনও অনেক দেরি।
প্লীহা পুরোপুরি সেরে উঠতে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই সময় কোনও ভারী কাজ করা যায় না। খাওয়া দাওয়াও করতে হয় নির্দেশ মেনে। তবে প্লীহায় আঘাত লাগা কোনও ব্যক্তি এর পর সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনওরকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় না। আপাতত রোজ স্ক্যান হবে শ্রেয়সের। তাঁর ক্রিকেটে ফিরতে এখনও অনেক দেরি।
advertisement
advertisement
advertisement