<h3><strong>হরভজন সিং: জীবন, কেরিয়ার, রেকর্ড এক ঝলকে</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;"><strong>পুরো নাম</strong>: হরভজন সিং প্লাহা</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;"><strong>জন্ম</strong>: ৩ জুলাই, ১৯৮০</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;"><strong>উচ্চতা</strong>: ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;"><strong>জাতীয়তা</strong>: ভারতীয়</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;"><strong>ক্রীড়াবিদ</strong>: বোলার/রাইট-আর্ম অফ ব্রেক, ডানহাতি ব্যাটসম্যান</span></p>
<h3><strong>পরিবার</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;"><strong>বাবা</strong>: সর্দার সরদেব সিং প্লাহা</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;"><strong>মা</strong>: অবতার কৌর</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;"><strong>স্ত্রী</strong>: গীতা বসরা</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;"><strong>কন্যা</strong>: হিনায়া হীর প্লাহা</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;"><strong>পুত্র</strong>: জোভান বীর </span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">হরভজন সিং হলেন এক জন ভারতীয় ক্রিকেটার, যিনি গত দুদশক ধরে ভারতীয় দলের এক জন স্থায়ী সদস্য ছিলেন। তাঁর জন্ম পঞ্জাবের লুধিয়ানা শহরে। আসলে হরভজনের আঙুলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ক্ষমতা ছিল। হরভজন একাধিক বার ম্যাচ-উইনার হিসেবে নিজের পরিচয় রেখেছেন। এর পাশাপাশি ২০০০ সালের সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারতীয় দলের ভিত্তি তৈরির পিছনে হরভজনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। </span></p>
<h3><strong>কেরিয়ারের সূচনা:</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">১৯৯৫ সালের নভেম্বর মাসে হরিয়ানার বিরুদ্ধে পঞ্জাবের হয়ে তাঁর অনূর্ধ্ব-১৬ অভিষেক ম্যাচে ১২টি উইকেট নিয়েছিলেন হরভজন সিং। বিভিন্ন বয়সের স্তরে তাঁর দুর্দান্ত পারফরমেন্সের ফলে ১৯৯৭ সালে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির মাধ্যমে ফার্স্ট-ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক ঘটে। ১৯৯৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় দলে তাঁকে নেওয়া হয়। এই বিশ্বকাপে মোট ৬টি ম্যাচে ৮টি উইকেট নিয়ে বেশ ভালো পারফর্ম করেছিলেন তিনি।</span></p>
<h3><strong>আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থান:</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">রঞ্জি অভিষেক ম্যাচে ৮টি ইউকেট নেওয়ার পর হরভজনকে ১৯৯৯-২০০০ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে দলে নেওয়া হয়। ১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে তাঁর আন্তর্জাতিক টেস্টে অভিষেক হয়। যদিও এই ম্যাচে তিনি ভালো পারফর্ম করতে পারেননি। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর তাঁর কেরিয়ার নিচে নামতে থাকে। ২০০০ সালে থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দলের অধিনায়ক থাকাকালীন হরভজনকে একাধিক সুযোগ দিতে থাকেন। ২০০১ সালের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩টি টেস্ট ম্যাচে তিনি ৩১টি উইকেট নেন।</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">টেস্ট অভিষেকের এক মাস পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ান-ডে ফরম্যাটে অভিষেক হয় হরভজনের। তাঁর টেস্ট অভিষেকের ব্যর্থতার মতো ওডিআই অভিষেক ম্যাচও ভুলে যাওয়ার মতো ছিল। কারণ সেই ম্যাচে তিনি শুধুমাত্র ১টি উইকেটই নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে ৩.২ ইকোনমি রেটে এবং ৩০.৪৫ রানের গড়ে ১১টি ইউকেট নিয়ে তুলনামূলক ভালো পারফর্ম করেন তিনি। ২০১১ সালেও বিশ্বকাপ দলের অংশ ছিলেন ভাজ্জি এবং ভালো পারফর্মও করেছিলেন তিনি। ২০১১ সালের পরে চোটের কারণে ধীরে ধীরে তিনি দলে তাঁর জায়গা হারিয়ে ফেলতে থাকেন।</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি২০-তে অভিষেক হয় হরভজন সিংয়ের। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ২০০৭ সালের টি২০ বিশ্বকাপ জয়ী দলেরও অংশ ছিলেন তিনি।</span></p>
<p> </p>
<p><span style="font-weight: 400;">আইপিএল:</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">আইপিএলের উদ্বোধনী মরসুমে মুম্বই ইন্ডিয়ানস হরভজনকে দলে নেয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গেই ছিলেন। ২০১৩ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ানস-এর আইপিএল ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে হরভজনের নেওয়া ২৪টি উইকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ২০১৫ সালে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ২৪ বলে ৬৪ রান করে নিজের ব্যাটিং দক্ষতারও পরিচয় রেখেছিলেন। মুম্বই ছেড়ে দেওয়ার পরে চেন্নাই সুপার কিংস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েও খেলেন তিনি। </span></p>
<h3><strong>অবসর:</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর সমস্ত রকম ক্রিকেটের ফরম্যাট থেকে অবসর নেন হরভজন সিং। ২৩ বছরের কেরিয়ারে তিনি অনেক ওঠা-পড়া দেখেছেন এবং ভারতীয় ক্রিকেট দলের সবচেয়ে সোনালি দিনগুলিতেও তিনি দলের অংশ হিসেবে সামিল ছিলেন।</span></p>
<h3><strong>পুরস্কার:</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">২০০৯ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয় হরভজন সিংকে।</span></p>
আরো দেখুন …