২০১২ সালে শেষবার পাকিস্তানের মাটিতে খেলেছিল টিম ইন্ডিয়া। তারপর থেকে আর সে দেশে পা রাখেনি ভারতীয় দল। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া তো দূরের কথা, কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজও খেলেনি। শুধু আইসিসি-র টুর্নামেন্টেই মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ।
এই প্রসঙ্গে বিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা জানিয়েছেন, সরকার অংশগ্রহণের অনুমতি দিলে তবেই বোর্ড ক্রিকেটারদের প্রতিবেশী দেশে খেলতে পাঠাবে। তাঁর কথায়, ‘‘চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফির ক্ষেত্রে ভারত সরকার আমাদের যা বলবে আমরা সেটাই করব। সরকার অনুমতি দিলে দল পাঠাব। গোটাটাই কেন্দ্রের অনুমতির উপর নির্ভর করছে।’’
advertisement
এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআই-এর সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানালেন হরভজন সিং। শুধু তাই নয় নিরাপত্তা ইস্যুতে পাকিস্তানকে তুলোধনাও করেন তিনি। হরভজনের মতে, ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানে খেলতে যেতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
বৃহস্পতিবার আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন ভারতীয় অফ স্পিনার বলেন, ‘‘টিম ইন্ডিয়া কেন পাকিস্তানে যাবে? ওখানে নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, প্রতিদিনই কিছু না কিছু ঘটছে। আমার মনে হয় না ওখানে খেলতে যাওয়া দলের জন্য নিরাপদ। বিসিসিআই একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই। আমি বিসিসিআই-এর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছি।’’
আরও পড়ুনঃ India vs Sri Lanka: সিরিজ শুরুর আগেই সমস্যা! দুই ক্রিকেটারকে চাপে গৌতম গম্ভীর
অন্য দিকে, ভারতীয় দলকে পাকিস্তানে আনার সবরকম চেষ্টা করছে পিসিবি। বিসিসিআই-এর প্রাথমিক বিবৃতির পরই তারা জানিয়েছে, ভারতের সব ম্যাচ লাহোরে হবে। পুরো টুর্নামেন্টে টিম ইন্ডিয়াকে একই হোটেলে রাখা হবে, যাতে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া যায়।
শুধু তাই নয়, লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামের কাছেই পাঁচ তারা হোটেল নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছে পিসিবি। ২০২৫-এর শুরুর দিকে হোটেল তৈরি হয়ে যাবে। ভারতীয় দলকে সেখানেই রাখা হবে বলে জানিয়েছে তারা। যাতে হোটেল থেকে মাঠের দূরত্ব কম হয়। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা দেওয়া যায়। তবে এর পরেও চিড়ে ভিজবে না বলেই মনে করছে ভারতীয় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ।