TRENDING:
advertisement

অমিত শাহের খবর (Amit Shah News)

অমিত শাহ: জীবন, সাফল্য, কেরিয়ার এক নজরে!

পুরো নাম

অমিত শাহ।

জন্ম

১৯৬৪ সালের ২২ অক্টোবর মুম্বইতে জন্মগ্রহণ করেন।

পরিবার

স্ত্রী – সোনালবেন শাহ।

বাবা – অমিতভাই অনিল চন্দ্র শাহ।

মা – শ্রীমতি কুসুমবেন শাহ।  

দলের নাম

ভারতীয় জনতা পার্টি।

অমিত শাহ সম্পর্কে

বর্তমানে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভারতীয় জনতা পার্টির সেকেন্ড ইন কম্যান্ড-ও ধরা হয় তাঁকে। বিস্তর অভিজ্ঞতা। ভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপির উত্থানের পিছনে তিনিই অন্যতম কুশীলব।

ব্যক্তিগত জীবন

মুম্বইয়ের একটি ধনী জৈন পরিবারে জন্ম শাহের। মেহসানায় স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হন আমেদাবাদের সিইউ শাহ সায়েন্স কলেজে। সেখান থেকেই বায়ো-কেমিস্ট্রিতে স্নাতক হন। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘে যোগ দেন শাহ। কিছুদিন বাবার ব্যবসা সামলেছেন। আমেদাবাদের একটি সমবায় ব্যাঙ্কেও কর্মরত ছিলেন। শুধু তাই নয়, সামান্য সময়ের জন্য স্টক ব্রোকার হিসেবেও কাজ করেছেন।   

ব্যাঙ্কের ভাগ্যের চাকা

২০০০ সালে আহমেদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের সভাপতি হন শাহ। সেই সময় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা লোকসান হয়েছিল ব্যাঙ্কের। বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তাদের প্রয়োজন ছিল দক্ষ নেতৃত্বের। সেই সময় দায়িত্বভার নেন শাহ। এক বছরের মধ্যে ব্যাঙ্কের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। সে বছর রেকর্ড ২৭ কোটি টাকা লাভ হয়।

রাজনৈতিক জীবনের শুরু

১৯৮৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন অমিত শাহ। একবছর পর বিজেপির যুব শাখা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার কর্মী হন। ধীরে ধীরে পদন্নোতিও হয়। দলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ যেমন রাজ্য সম্পাদক, সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৯১ সালে গুজরাতের গান্ধিনগর আসন থেকে লড়েন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা এল কে আদবানি। তাঁর প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন শাহ।

৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে কেশুভাই পটেলের নেতৃত্বে গুজরাতে সরকার গঠন করে বিজেপি। সেই সময় রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় কংগ্রেসের ব্যাপক প্রভাব ছিল। রাজ্যে কংগ্রেসের প্রভাব খর্ব করার জন্য নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অমিত শাহকে দলের হাইকমান্ড দায়িত্ব দেয়। তাঁরা বিপুল সংখ্যক কংগ্রেস কর্মীকে বিজেপিতে আনেন। কিন্তু বেশিরভাগই পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে যায়।

গুজরাত

২০০১ সালে দুর্বল প্রশাসনের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কেশুভাই পটেলকে সরিয়ে দেয় বিজেপি হাইকম্যান্ড। সেই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। ফলস্বরূপ রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়ে অমিত শাহের। ২০০২ সালে একাধিক মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয় শাহকে। ২০০৪ সালে ইউপিএ-এর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পোটা আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু অমিত শাহ গুজরাত কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম (জিসিওসি) বিল রাজ্য বিধানসভায় পাস করতে সক্ষম হন। ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন পাশ করানোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শাহ।

জাতীয় রাজনীতিতে উত্থান

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর অমিত শাহের কেরিয়ায় অক্সিজেন পায়। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়াতে শাহেরও গুরুত্ব বাড়ে। অমিত শাহকে উত্তরপ্রদেশের ইনচার্জ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তৎকালীন দলের সভাপতি রাজনাথ সিং। তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এরপর ২০১৪ সালের জুলাই মাসে তাঁকে সর্বসম্মতি ক্রমে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হন। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ফের নির্বাচিত হন।

আরো দেখুন …

সব খবর

Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল