নয়াদিল্লি: এসআইআর নিয়ে এবার বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভায় অধিবেশনে এসআইআর ইস্যু নিয়ে বলতে উঠে অমিত শাহ প্রথমেই বলেন, ”এসআইআর হওয়ায় কিছু রাজনৈতিক দলের অসুবিধা হচ্ছে, মানছি। কারণ তাদের তো দেশের লোক ভোট দিত না। বিদেশিরা ভোট দিত। গত চার মাস ধরে বিরোধীরা বিশেষত কংগ্রেস পার্টি মিথ্যা বলে এসেছে এসআইআর নিয়ে।”
advertisement
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংযোজন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্তালিন, রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খারগে, তেজস্বী যাদব, অখিলেশ যাদব, হেমন্ত সোরেন, ভগবন্ত মানরা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। আগে কংগ্রেস একা ছিল, এখন তার ইন্ডি জোটের সবাই প্রশ্ন তুলছেন। সাংবিধানিক এক প্রতিষ্ঠানের উপর প্রশ্ন তুলে কমিশন এবং ভারতের গণতন্ত্রের ছবি নষ্ট করছেন আপনারা।”
বিরোধীদের একহাত নিয়ে শাহ বলেন, ”আসলে ভোটে হারের কারণ তাদের নেতৃত্ব। কমিশন এবং ভোটার তালিকা নয়। মানুষের মনে কোনও ডাউট নেই। কারণ তারাই ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। আমরা তো অমেঠি, ওয়েনাড়ের ভোটার তালিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলাম। সেটা নিয়ে তো কোনও কথা বলেন না।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ”নির্বাচন কমিশনের কাছে আজ জানতে চেয়েছিলাম। অন্যভাবে দেখবেন না ব্যপারটাকে। নির্বাচন স্বচ্ছ করতে ২০১৪ সাল থেকে কোন পার্টির কতবার ভোটার তালিকা সংশোধনের আবেদন জমা পড়েছে? আমি জানতে পারলাম ২০১৪ সালের মে মাস থেকে একটিও আবেদন কংগ্রেসের তরফে আসেনি নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার জন্য।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংযোজন, ”২০১৪ সালে হারের পর থেকে প্রথমে ইভিএম-কে এরা নিশানা করে। ইভিএম কে এনেছিল? রাজীব গান্ধির সময় এসেছিল। সর্বোচ্চ আদালতের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ ২০০২ সালে এর আইনি বৈধতা নিয়ে সহমত হয়েছিল। এরা নিজেদের আনা আইনকে মানেন না। সর্বোচ্চ আদালতকেও মানে না। প্রথমবার ২০০৪ সালে ইভিএম চালু হয়। ২০০৪ সালে ওরা জিতেছিলেন। ২০০৯ সাল ওঁরা আবার জিতলেন। তখনও পর্যন্ত কোনও কথা নেই। ২০১৪ সালে যেই আমরা জিতলাম ওমনি, কাউ কাউ কাউ কাউ কাউ। এখনও পর্যন্ত ১৬০০০ ভিভি প্যাড চেক হয়েছে। তাতে কোনও সমস্যা পাওয়া যায়নি।”
