মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে যেহেতু ভোট ঘোষণা হবে, তাই চালাকি করে তিন মাস আগে এটা করেছে৷ এটা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ করেছেন৷ যাতে এসআইআর না মানলে নির্বাচন বন্ধ করে দিয়ে সরকার ফেলে দেওয়া যায়৷ আর তা না হলে এসআইআর করে দেও৷ যতই চালাকি করো, চালাকি দিয়ে মহৎ কাজ হয় না৷ আমরা রুখে দেব, অধিকার আদায় করে ছাড়ব৷ বাংলাকে দখল করা যায় না হ্যাংলার দল৷ বাংলাকে দখল করতে হলে গণতন্ত্রের মাধ্যমে করো৷ মানুষ ভোট দিলে করো৷ আমি যতক্ষণ বেঁচে আছি, আমাদের মা মাটি সরকার যতক্ষণ আছে কারও কোনও চিন্তা নেই৷ আমরা আপনাদের পাহারাদার৷’
advertisement
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রকাশ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এমন কি, অমিত শাহের উপরে নজর রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও পরামর্শ দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে৷
বিজেপি-র বিরুদ্ধে দখলদারির রাজনীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলনেত্রীর বার্তা, ‘সব দখল করছ৷ সারা ভারত দখল করেও লজ্জা হয় না৷ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দখল করো৷ কিন্তু জোর করে দখল করতে গেলে জরুরি অবস্থার কথা মনে পড়ে যায়৷ আর জরুরি অবস্থা জারি করলে সারা দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না৷ আজ ক্ষমতায় আছেন, কাল থাকবেন না৷’
যদিও আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘যতই চেষ্টা করো বিজেপি, বাংলা দখল করা দূর অস্ত৷ এসআইআর করে তোমরা নিজেদের কবর খুঁড়েছো৷ জেনে রেখে দেও, মানুষ তোমাদের সমর্থন করে না৷ বিহার আলাদা, বাংলা আলাদা৷ বিহার দখল করেছো, বাংলা দখল করা সম্ভব নয়৷ ইংরেজরা পারেনি তুমি তো কোন ছাড়৷ ছারপোকা দেখেছেন তো কামরায়, যতক্ষণ না মারবেন কামড়ে যাবে৷ রাজনৈতিক ভাবে ছারপোকাদের সরিয়ে দিতে হবে৷’
এসআইআর নিয়ে বিজেপি-কে কড়া আক্রমণ করলেও এ দিনও অবশ্য সাধারণ মানুষকে এসআইআর প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ফর্ম ফিল আপ করবেন, হিয়ারিংয়ে যাবেন৷ নাহলে নাম কেটে দেবে ভোট দিতে পারবেন না৷ একই সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদেরও রাজ্যে ফিরে আসার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
