বাংলায় অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বিজেপি৷ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাঁদের ফেরত পাঠানোর হুঁশিয়ারি আগেও দিয়েছেন অমিত শাহ সহ বিজেপি নেতারা৷ পাল্টা তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে, সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে বিএসএফ৷ তাহলে তাদের নজর এড়িয়ে কীভাবে অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্যে ঢুকছে৷
এ দিন কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়েই সীমান্ত নিয়ে তৃণমূলের এই অভিযোগের জবাব দিয়েছেন অমিত শাহ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর জন্য রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সিএএ-এর বিরোধিতা করেছে এই রাজ্য। বিএসএফ-এর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। কোন সরকার বাংলাদেশ ও রাজ্যের সীমানায় জমি দেয়নি কোন সরকার? এটা প্রশ্ন করতে চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আমি উত্তর দিচ্ছি৷ আপনার সরকার দেয়নি জায়গা। কেন অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আপনার প্রশাসন, থানা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি? কেন পঞ্জাব, অসম সীমান্ত দিয়ে় অনুপ্রবেশ হয় না, বাংলা সীমান্ত দিয়ে হয়? আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনার জন্য এই অনুপ্রবেশ হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে এই অনুপ্রবেশ বন্ধ করেননি, যেটা বাংলার ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন করেছে।
advertisement
অমিত শাহ আরও দাবি করেন, আমি আমার পক্ষ থেকে ৭ বার চিঠি দিয়েছে সীমানায় জমি দেওয়ার জন্য । কিন্তু কী সমস্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি দিতে? জমি না দিলে কিভাবে কাঁটাতার লাগবে, কীভাবে বিএসএফ কাজ করবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচানোর জন্য অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করছে।
যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই অভিযোগের পর পরই বাঁকুড়ার সভা থেকে তার জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূলনেত্রী বলেন,বিএসএফকে অনেক জমি দিয়েছি। সেই কাজ করতে পারোনি। আগে সেই কাজ করো। আবার জমি দেব। তোমার কাজ এখন এক কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার সীমান্ত দেখার নাম করে অত্যাচার করা।
অন্য রাজ্যে অনুপ্রবেশ সমস্যা নেই বলে অমিত শাহ যে দাবি করেছেন, তারও জবাব দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী৷ মমতা বলেন, বাংলায় আসলেই অনুপ্রবেশকারী, কাশ্মীরে নেই? তাহলে কি পহেলগাঁও আপনারা করলেন?
