নয়াদিল্লি: চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা, আতঙ্ক, বিএলও-দের স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারপরের দিন, অর্থাৎ, শুক্রবার এসআইআরের পক্ষে ফের জোরাল সওয়াল করতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে৷ এদিন অমিত শাহ বলেন, অনুপ্রবেশ বন্ধ করা দেশের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা পদক্ষেপ৷ বিরোধী যে সমস্ত দল SIR-এর বিরোধিতা করছে তাদের নিশানা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক যে কিছু রাজনৈতিক দল এই অনুপ্রবেশকারীদের হঠানোর এই কাজকে দুর্বল করে দিতে চাইছে৷’ যদিও এই কথাগুলি বলার সময় কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা দলের নাম উল্লেখ করেননি শাহ৷
advertisement
এদিন SIR প্রক্রিয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘BSF জওয়ানেরা নিরলস ভাবে সীমান্তে অনুপ্রবেশ আটকানোর চেষ্টা করে চলেছেন৷ অনুপ্রবেশ আটকানো শুধুমাত্র জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় তা-ই নয়, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কলুষিত হওয়া থেকে রক্ষা করাও এর উদ্দেশ্য৷’’
তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের হঠানোর এই কাজকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে৷ তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন যে ভোটার লিস্ট ঝাড়াই বাছাই করার চেষ্টা করছে, কিছু দল তার বিরোধিতা করছে৷’’
শাহের কথায়, ‘‘দেশে একটা অনুপ্রবেশকারী ঢুকে বসে থাকলে তাকে চিহ্নিত করে সরাতে আমরা বদ্ধপরিকর৷ দেশের মুখ্যমন্ত্রী অথবা প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নির্বাচন করার অধিকার একমাত্র এই দেশের নাগরিকদের রয়েছে৷ কোনও অনুপ্রবেশকারীর অধিকার নেই এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কলুষিত করার অথবা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সিদ্ধান্তকে প্রাভাবিত করার৷’’
শাহের মতে, SIR ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার শুদ্ধতা নিশ্চিত করারই একটি প্রক্রিয়া৷ পাশাপাশি, শাহের হুঁশিয়ারি যে সমস্ত দল এই অনুপ্রবেশকারীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে, তাদের সাধারণ মানুষ মোটেও সমর্থন করবেন না৷ বিশেষ করে বিহারে যেমন হয়েছে, সেটা দেখার পরে৷
SIR প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে গত বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিএলওদের দুর্দশা এবং অপর্যাপ্ত পরিকাঠামোর কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব নয়। ভুলভ্রান্তির সম্ভাবনা থাকবে। সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হবেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
