কলকাতা: রাজ্য বিজেপির চার মুখ শমীক ভট্টাচার্য, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষকে নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে ছিলেন ভূপেন্দ্র যাদব, সুনীল বনসল, বিপ্লব দেবরা। রাজ্যের চার মুখকে এক ছাতার তলায় আনতে মরিয়া কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
advertisement
বিজেপির আজকের বৈঠকে অনুপস্থিত রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য ও হর্ষবর্ধন শ্রীংলা। গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক ঢুকতে দেরি করেন। মিটিংয়ের নির্ধারিত সময়ের থেকে অনেক দেরিতে আসেন তিনি, তাই তাকে মিটিংয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
বৈঠক সূত্রে খবর, বিধায়কদের নিজের এলাকায় কাজ বাড়াতে বলা হয়েছে। সাপ্তাহিক অন্তত চার দিন নিজ এলাকায় থাকতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ। অন্তত পাঁচটি পথসভা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুনরায় টিকিট পেতে আগামী দু’মাসে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে বিধায়কদের।
মুখ হিসেবে এলাকায় বিধায়ককে রেখেই কার্যক্রম করতে হবে। একাধিক বিধায়কের আসন বদলের সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রাক্তন সাংসদদের নিজেদের পুরনো লোকসভা কেন্দ্রে অবিলম্বে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। জয়ী ও পরাজিত অর্থাৎ বিধায়ক-সাংসদদের পথে নামার বার্তা অমিত শাহের। নিজ এলাকায় বুথে নজর বাড়ানোর নির্দেশ। আগে বুথ সংগঠন, পরে জয়লাভ। এমনই বার্তা উঠে এসেছে আজকের বৈঠক থেকে।
সূত্রের খবর, দুটি বিষয়কে নিয়ে প্রচারে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ। রাজ্যে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা বৃদ্ধি, রাজ্যের ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন। সূত্রের খবর ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষার কারণে মাইক বন্ধের সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরনো কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমনে জোর দিতে হবে এলাকার জেলা নেতৃত্ব ও বিধায়ক সাংসদকে নির্দেশ অমিত শাহের।
