রাহুল গান্ধি: জীবন, সাফল্য, কেরিয়ার এক নজরে!
পুরো নাম
রাহুল গান্ধি।
জন্ম:
১৯৭০ সালের ১৯ জুন, নয়া দিল্লিতে।
রাজনৈতিক দল
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস।
পরিবার
অবিবাহিত। তবে ২০০৪ সালে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ভেরোনিক কার্টেলি নামে তাঁর একজন স্প্যানিশ বান্ধবী রয়েছে। তিনি পেশায় স্থপতি। ভেনেজুয়েলায় থাকেন।
বাবা – রাজীব গান্ধি।
মা – সোনিয়া গান্ধি।
বোন – প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।
রাহুল গান্ধি সম্পর্কে
নেহেরু-গান্ধি পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম রাহুল। জওহরলাল নেহরুর প্রপৌত্র। ইন্দিরা গান্ধির নাতি। বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। রাহুল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। বর্তমানে ক্রলের ওয়ানাড়ের সাংসদ। ভারতের ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং ইন্ডিয়ান ইয়ুথ কংগ্রেসের চেয়ারপার্সনের পদও সামলেছেন রাহুল।
ব্যক্তিগত জীবন
১৯৭০ সালের ১৯ জুন দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন রাহুল। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির দুই সন্তানের মধ্যে তিনিই বড়। তাঁর মা সোনিয়া ছিলেন ইতালিয়ান। তবে বর্তমানে ভারতীয় নাগরিক। তাঁর ছোট বোন প্রিয়াঙ্কা সক্রিয় রাজনীতিতে থাকলেও বিয়ে করেছেন এক ব্যবসায়িকে, রবার্ট বঢরা। রাহুলের প্রাথমিক শিক্ষা দিল্লির সেন্ট কলম্বাস স্কুলে। তারপর ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের দুন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।
ধারাবাহিক বিপর্যয়
জঙ্গিদের গুলিতে প্রথমে ঠাকুমা তারপর বাবার মৃত্যু। যা শুধু রাহুলকেই নয়, গোটা গান্ধি পরিবারকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধির মৃত্যুর পরে রাজনীতিতে আসেন রাজীব। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও হন। পরবর্তীকালে শিখ চরমপন্থীদের হুমকির মুখে পড়ে গোটা গান্ধি পরিবার। ফলে নিরাপত্তার কারণে স্কুলের পাঠ চুকিয়ে বাড়িতেই পড়াশোনা করেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা। ১৯৮৯ সালে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজে ভর্তি হন রাহুল। তবে ফার্স্ট ইয়ারের পরেই এই কলেজ ছেড়ে ভর্তি হন হার্ভার্ডে। ১৯৯১ সালে এলটিটি জঙ্গিদের বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন রাজীব। নিরাপত্তার কারণে ফের হার্ভার্ড ছেড়ে ফ্লোরিডার রোলিন্স কলেজে ভর্তি হন রাহুল। ছদ্মনাম নেন রাউল ভিঞ্চি। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং নিরাপত্তা সংস্থা তাঁর আসল পরিচয় জানতেন। ১৯৯৫ সালে কেমব্রিজের ট্রিনটি কলেজ থেকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে এমফিল করেন তিনি।
কর্মজীবন
গ্র্যাজুয়েশনের পর ম্যানেজমেন্ট গুরু মাইকেল পোর্টারের সংস্থা মনিটর গ্রুপে তিন বছর কাজ করেছেন রাহুল। এরপর ২০০২ সালে ভারতে ফিরে আসেন। এখানে ব্যাকঅপস সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড নামের মুম্বই ভিত্তিক একটি আউট সোর্সিং কোম্পানিতে ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন।
রাজনৈতিক জীবন
রাহুলের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ২০০৪ সালে। উত্তরপ্রদেশের আমেঠি থেকে প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০০৭ সালে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচারে নেতৃত্ব দেন রাহুল। ২ মাসে ২০০টিরও বেশি জনসভা ও র্যালি করেন। কিন্তু পরিশ্রম কাজে আসেনি। কংগ্রেস মাত্র ২৮টি আসনে জেতে। এরপর আর নির্বাচনী প্রধানের দায়িত্ব সামলাননি রাহুল। ২০১৩ সালে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেস বড় সাফল্য পায়নি। তবে আমেঠিতে নিজের গড় ধরে রাখতে সফল হন রাহুল। কিন্তু ২০১৯-এও সেটাও হাতছাড়া হয়। সেবার আমেঠির সঙ্গে ওয়ানাড় থেকেও লড়েন রাহুল। আমেঠিতে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান। তবে ওয়ানাড় থেকে জেতেন। বর্তমানে তিনি এই কেন্দ্রেরই সাংসদ।