হার্দিক পান্ডিয়া: জীবন, কেরিয়ার, সাফল্য এক ঝলকে
পুরো নাম: হার্দিক হিমাংশু পান্ডিয়া
জন্ম: ১১ অক্টোবর ১৯৯৩
উচ্চতা: ৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার)
জাতীয়তা: ভারতীয়
ক্রীড়াবিদ: ডান-হাতি ব্যাটার, ডান-হাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার
পরিবার
পিতা: হিমাংশু পান্ডিয়া
মাতা: নলিনী পান্ডিয়া
স্ত্রী: নাতাশা স্টানকোভিচ
ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হলেন হার্দিক পান্ডিয়া। গুজরাতের সুরাতে জন্ম হার্দিকের। তাঁর এক দাদা রয়েছেন, যাঁর নাম ক্রুনাল পান্ডিয়া। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। আইপিএল-এ হার্দিক এবং ক্রুনাল – দুই ভাইই একসঙ্গে মুম্বই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলেন। যখন দুই ভাই একসঙ্গে মাঠে থাকেন, তখন ভক্তরা তাঁদের ‘পান্ডিয়া ব্রাদার্স’ বলে সম্বোধন করে থাকেন। ২০২০ সালে মডেল, অভিনেত্রী নাতাশা স্টানকোভিচের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন হার্দিক।
হার্দিক পান্ডিয়া হলেন একজন ভারতীয় ক্রিকেটার। ২০১৩ সালে বরোদার হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে হার্দিকের। ২০১৩-১৪ সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বরোদার বিজয়ী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন হার্দিক।
উত্থান:
২০১৬ সালে অ্যাডিলেডে ভারতের হয়ে অস্ট্রেলিয়ান দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়ার। প্রথম ম্যাচে তাঁর শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের প্রথম ওভারে ৫টি ওয়াইড দিয়ে ১৯ রান দিয়েছিলেন। এর পর শেষ তিন ওভারে অবশ্য ১৮ রান দিয়ে নিজের দক্ষতা এবং ক্ষমতার প্রদর্শন করেছিলেন হার্দিক। ২০১৬ সালে ভারতের টি-টয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের অংশ ছিলেন তিনি। শেষ ৩ বলে মাত্র ২ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। ভারতের সেই প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচ হার্দিকের বোলিং দক্ষতায় ঘুরে দাঁড়ায় এবং ওই ম্যাচে জয় আসে ভারতের।
২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ধর্মশালায় ওয়ানডে আন্তর্জাতিকে (ODI) অভিষেক হয় হার্দিক পান্ডিয়ার। ওই ম্যাচে তাঁকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ সম্মান দেওয়া হয়। ৫০ ওভারের ফরম্যাটেও হার্দিকের পারফরমেন্স ছিল দুর্দান্ত। ২০১৯ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পান তিনি এবং ওই টুর্নামেন্টে ভারত সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল।
উদ্বোধনী টেস্ট কল-আপের জন্য, ২০১৬ সালের শেষের দিকে ইংল্যান্ডের সফরে এক জন ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল পান্ডিয়াকে। তবে পিসিএ স্টেডিয়ামে নেটে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় আহত হওয়ার কারণে বাদ পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার গলে প্রথম টেস্ট ম্যাচে অভিষেক হয় তাঁর।
আইপিএল কেরিয়ার:
২০১৫ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হাত ধরেই আইপিএল কেরিয়ারের সফর শুরু করেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। মুম্বইয়ের একাধিক আইপিএল ট্রফি জয়ে পান্ডিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। এমআই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে হার্দিকের অলরাউন্ড পারফরমেন্স ভারতীয় জাতীয় দলে স্থান দেয় তাঁকে। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ছিল হার্দিকের আইপিএল কেরিয়ার। ২০২২ সালের মেগা নিলামে গুজরাত টাইটান্স পান্ডিয়াকে কিনে নেয় এবং গুজরাতের আইপিএল দলে অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন পান্ডিয়া। এখানেই শেষ নয়, অধিনায়ক হিসেবে প্রথমে সিজনেই জয়ের ট্রফি তুলে নেন পান্ডিয়া।
চোট-আঘাত:
চোট -আঘাত বারবার পান্ডিয়ার কেরিয়ারে বড় সমস্যা তৈরি করেছে। ২০১৯ সালে তাঁর পিঠে গুরতর আঘাত লাগে। সার্জারি বা অস্ত্রোপচার করাতে হয় সেই সময়। সুস্থ হয়ে ফিরে এলেও হার্দিক পান্ডিয়ার ফর্ম খারাপ হতে শুরু করে। তবে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেন পান্ডিয়া এবং জাতীয় দলে ফের নিজের জায়গা পাকা করে নেন তিনি।
রেকর্ড: