MI vs GT: বৃষ্টি, নো বল আর রান আউট, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে যে ভাবে জিতল গুজরাত ! এত নাটকীয়তা আইপিএল কখনও দেখেনি

Last Updated:
Last over Drama in IPL 2025: বলা হচ্ছে, এটাই ছিল আইপিএল ২০২৫-এর দীর্ঘতম ম্যাচ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং গুজরাত টাইটানসের মধ্যে এই ম্যাচটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে শুরু হলেও বুধবার রাত ১২.৪০ মিনিটে শেষ হয়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই, প্রচুর রান উঠেছিল, প্রচুর উইকেট পড়েছিল- আর হ্যাঁ, প্রচণ্ড বৃষ্টিও হয়েছিল।
1/11
ট্র্যাজেডি বা পরাজয়, যা-ই বলা হোক না কেন, তা মানুষের জীবনে দুভাবে আসে। হয় তার নিজের ভুলের কারণে, নয় ভাগ্যের দোষে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ৬ মে, ২০২৫ তারিখের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম গুজরাত টাইটানসের খেলা সে কথা অক্ষরে অক্ষরে যেন প্রমাণ করে দিল। (Photo: IPL)
ট্র্যাজেডি বা পরাজয়, যা-ই বলা হোক না কেন, তা মানুষের জীবনে দুভাবে আসে। হয় তার নিজের ভুলের কারণে, নয় ভাগ্যের দোষে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ৬ মে, ২০২৫ তারিখের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম গুজরাত টাইটানসের খেলা সে কথা অক্ষরে অক্ষরে যেন প্রমাণ করে দিল। (Photo: IPL)
advertisement
2/11
সত্যি বলতে কী, এত নাটকীয়তা আইপিলে খুব কম খেলাতেই দেখা গিয়েছে। কী ছিল না এই ম্যাচে! তুমুল বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া, বাতিল ম্যাচ, ডাকওয়ার্থ লুইস রুল, নো বল, রান আউট- সংক্ষেপে এই কয়েক শব্দ পরিস্থিতি তুলে ধরতে পারে। (Photo: AP)
সত্যি বলতে কী, এত নাটকীয়তা আইপিলে খুব কম খেলাতেই দেখা গিয়েছে। কী ছিল না এই ম্যাচে! তুমুল বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া, বাতিল ম্যাচ, ডাকওয়ার্থ লুইস রুল, নো বল, রান আউট- সংক্ষেপে এই কয়েক শব্দ পরিস্থিতি তুলে ধরতে পারে। (Photo: AP)
advertisement
3/11
বলা হচ্ছে, এটাই ছিল আইপিএল ২০২৫-এর দীর্ঘতম ম্যাচ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং গুজরাত টাইটানসের মধ্যে এই ম্যাচটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে শুরু হলেও বুধবার রাত ১২.৪০ মিনিটে শেষ হয়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই, প্রচুর রান উঠেছিল, প্রচুর উইকেট পড়েছিল- আর হ্যাঁ, প্রচণ্ড বৃষ্টিও হয়েছিল। এই বৃষ্টিতে গুজরাত টাইটানসের ইনিংস দুবার বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১১:৫২ মিনিটে যখন খেলা থামানো হয়, তখন গুজরাতের দুই ওভারে ২৪ রানের প্রয়োজন ছিল এবং চার উইকেট বাকি ছিল। এর পর ডাকওয়ার্থ লুইস রুল মেনে খেলা চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। সেই নিয়ম মতো, গুজরাত টাইটানসের লক্ষ্য ১৫৬ থেকে কমিয়ে ১৪৭ করা হয় এবং এক ওভারও কমানো হয়। (Photo: AP)
বলা হচ্ছে, এটাই ছিল আইপিএল ২০২৫-এর দীর্ঘতম ম্যাচ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং গুজরাত টাইটানসের মধ্যে এই ম্যাচটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে শুরু হলেও বুধবার রাত ১২.৪০ মিনিটে শেষ হয়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই, প্রচুর রান উঠেছিল, প্রচুর উইকেট পড়েছিল- আর হ্যাঁ, প্রচণ্ড বৃষ্টিও হয়েছিল। এই বৃষ্টিতে গুজরাত টাইটানসের ইনিংস দুবার বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১১:৫২ মিনিটে যখন খেলা থামানো হয়, তখন গুজরাতের দুই ওভারে ২৪ রানের প্রয়োজন ছিল এবং চার উইকেট বাকি ছিল। এর পর ডাকওয়ার্থ লুইস রুল মেনে খেলা চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। সেই নিয়ম মতো, গুজরাত টাইটানসের লক্ষ্য ১৫৬ থেকে কমিয়ে ১৪৭ করা হয় এবং এক ওভারও কমানো হয়। (Photo: AP)
advertisement
4/11
অবশেষে, রাত ১২.৩০ মিনিটে খেলা শুরু হলে, গুজরাত টাইটানসের সামনে ১৯ ওভারে ১৪৭ রানের লক্ষ্য ছিল। এর মধ্যে ১৮ ওভার বল করা হয়েছিল এবং স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৩২ রান। সুতরাং, ১৯তম অর্থাৎ শেষ ওভারে জয়ের জন্য গুজরাতকে মাত্র ১৫ রান করতে হয়েছিল। এই ওভারটিতে বল করেছিলেন দীপক চাহার। ক্রিজে ছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া এবং জেরাল্ড কোয়েটজি। (Photo: AP)
অবশেষে, রাত ১২.৩০ মিনিটে খেলা শুরু হলে, গুজরাত টাইটানসের সামনে ১৯ ওভারে ১৪৭ রানের লক্ষ্য ছিল। এর মধ্যে ১৮ ওভার বল করা হয়েছিল এবং স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৩২ রান। সুতরাং, ১৯তম অর্থাৎ শেষ ওভারে জয়ের জন্য গুজরাতকে মাত্র ১৫ রান করতে হয়েছিল। এই ওভারটিতে বল করেছিলেন দীপক চাহার। ক্রিজে ছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া এবং জেরাল্ড কোয়েটজি। (Photo: AP)
advertisement
5/11
রাহুল তেওয়াটিয়া প্রথম বলে চার মারেন এবং পরের বলে কভারে খেলে একটি রান নেন। এইভাবে প্রথম দুই বলে ৫ রান উঠে আসে। এখনও ৪ বলে ১০ রান দরকার। ওভারের তৃতীয় বলে জেরাল্ড কোয়েটজি লং অফ বাউন্ডারি পেরিয়ে ছক্কা মারেন। (Photo: AP)
রাহুল তেওয়াটিয়া প্রথম বলে চার মারেন এবং পরের বলে কভারে খেলে একটি রান নেন। এইভাবে প্রথম দুই বলে ৫ রান উঠে আসে। এখনও ৪ বলে ১০ রান দরকার। ওভারের তৃতীয় বলে জেরাল্ড কোয়েটজি লং অফ বাউন্ডারি পেরিয়ে ছক্কা মারেন। (Photo: AP)
advertisement
6/11
এবার গুজরাতের জয়ের জন্য ৩ বলে ৪ রান প্রয়োজন ছিল। ওভারের চতুর্থ বল কোয়েটজির ইনসাইড এজে লেগে ফাইন লেগে যায়। এক রান করা হয়েছিল। কিন্তু এটা ছিল নো বল। ফলে, গুজরাত টাইটানস একটা ফ্রি হিট পায়। রাহুল তেওয়াটিয়া ফ্রি হিটে মাত্র এক রান নিতে পারেন, পরিস্থিতি তখন এমনই! (Photo: AP)
এবার গুজরাতের জয়ের জন্য ৩ বলে ৪ রান প্রয়োজন ছিল। ওভারের চতুর্থ বল কোয়েটজির ইনসাইড এজে লেগে ফাইন লেগে যায়। এক রান করা হয়েছিল। কিন্তু এটা ছিল নো বল। ফলে, গুজরাত টাইটানস একটা ফ্রি হিট পায়। রাহুল তেওয়াটিয়া ফ্রি হিটে মাত্র এক রান নিতে পারেন, পরিস্থিতি তখন এমনই! (Photo: AP)
advertisement
7/11
এবার গুজরাতের জয়ের জন্য ৩ বলে ৪ রান প্রয়োজন ছিল। ওভারের চতুর্থ বল কোয়েটজির ইনসাইড এজে লেগে ফাইন লেগে যায়। এক রান করা হয়েছিল। কিন্তু এটা ছিল নো বল। ফলে, গুজরাত টাইটানস একটা ফ্রি হিট পায়। রাহুল তেওয়াটিয়া ফ্রি হিটে মাত্র এক রান নিতে পারেন, পরিস্থিতি তখন এমনই! (Photo: AP)
এবার গুজরাতের জয়ের জন্য ৩ বলে ৪ রান প্রয়োজন ছিল। ওভারের চতুর্থ বল কোয়েটজির ইনসাইড এজে লেগে ফাইন লেগে যায়। এক রান করা হয়েছিল। কিন্তু এটা ছিল নো বল। ফলে, গুজরাত টাইটানস একটা ফ্রি হিট পায়। রাহুল তেওয়াটিয়া ফ্রি হিটে মাত্র এক রান নিতে পারেন, পরিস্থিতি তখন এমনই! (Photo: AP)
advertisement
8/11
পঞ্চম বলে এদিকে কোয়েৎজি সহজ ক্যাচ দেন। এখন গুজরাত টাইটানসের জয়ের জন্য দুই বলে এক রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নাটকীয়তা তখনও শুরু হয়নি। জয়ের কাছাকাছি এসে কোয়েটজি নার্ভাস হয়ে পড়েন। যখন এক রানের প্রয়োজন ছিল, তখন তিনি ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মারতে চেষ্টা করেন এবং স্কোয়ার লেগে আউট হয়ে যান। (Photo: AP)
পঞ্চম বলে এদিকে কোয়েৎজি সহজ ক্যাচ দেন। এখন গুজরাত টাইটানসের জয়ের জন্য দুই বলে এক রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নাটকীয়তা তখনও শুরু হয়নি। জয়ের কাছাকাছি এসে কোয়েটজি নার্ভাস হয়ে পড়েন। যখন এক রানের প্রয়োজন ছিল, তখন তিনি ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মারতে চেষ্টা করেন এবং স্কোয়ার লেগে আউট হয়ে যান। (Photo: AP)
advertisement
9/11
খেলা শেষ হতে আর মাত্র এক বল বাকি ছিল এবং গুজরাত টাইটানস জয় থেকে স্রেফ এক রান দূরে ছিল। এই জায়গায় এসে মুম্বই ইন্ডিয়ানসের মনের কথা সহজেই বুঝে নেওয়া যায়। হয় জিতবে তারাই, নয় তো ম্যাচ টাই হবে। সুপার ওভারের আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ঠিক এই সময়ে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটসম্যান আরশাদ খান। আরশাদ এই বল খেলেই দ্রুত দৌড়ে যান। বলটি চলে যায় মিড-অফে দাঁড়িয়ে থাকা হার্দিক পান্ডিয়ার দিকে। হার্দিক পান্ডিয়া দ্রুত ক্যাচ নিয়ে স্টাম্পের দিকে ছুঁড়ে মারেন। আর- তাঁর থ্রো মিস হয়ে যায়! (Photo: AP)
খেলা শেষ হতে আর মাত্র এক বল বাকি ছিল এবং গুজরাত টাইটানস জয় থেকে স্রেফ এক রান দূরে ছিল। এই জায়গায় এসে মুম্বই ইন্ডিয়ানসের মনের কথা সহজেই বুঝে নেওয়া যায়। হয় জিতবে তারাই, নয় তো ম্যাচ টাই হবে। সুপার ওভারের আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ঠিক এই সময়ে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটসম্যান আরশাদ খান। আরশাদ এই বল খেলেই দ্রুত দৌড়ে যান। বলটি চলে যায় মিড-অফে দাঁড়িয়ে থাকা হার্দিক পান্ডিয়ার দিকে। হার্দিক পান্ডিয়া দ্রুত ক্যাচ নিয়ে স্টাম্পের দিকে ছুঁড়ে মারেন। আর- তাঁর থ্রো মিস হয়ে যায়! (Photo: AP)
advertisement
10/11
যদি বলটা লাগত, তাহলে আরশাদ রান আউট হয়ে যেতেন। ম্যাচটি টাই হয়ে যেত। কিন্তু কেবল হার্দিক পান্ডিয়ার থ্রো মিস হয়ে যায়। আসলে, এই চাপের মুখে তিনি ভুলে গিয়েছিলেন যে, স্টাম্পের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা সূর্যকুমার যাদবকে বল দিলেও আরশাদ রান আউট ঠিকই হতেন। কী আর করা, বলতেই হয় যে কিন্তু এই দিন হার্দিক পান্ডিয়ার ভাগ্য প্রসন্ন ছিল না। সবাই বলছেন, হার্দিক পান্ডিয়া বল নয়, ম্যাচটাই যেন ছুঁড়ে ফেলে দিলেন! (Photo: AP)
যদি বলটা লাগত, তাহলে আরশাদ রান আউট হয়ে যেতেন। ম্যাচটি টাই হয়ে যেত। কিন্তু কেবল হার্দিক পান্ডিয়ার থ্রো মিস হয়ে যায়। আসলে, এই চাপের মুখে তিনি ভুলে গিয়েছিলেন যে, স্টাম্পের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা সূর্যকুমার যাদবকে বল দিলেও আরশাদ রান আউট ঠিকই হতেন। কী আর করা, বলতেই হয় যে কিন্তু এই দিন হার্দিক পান্ডিয়ার ভাগ্য প্রসন্ন ছিল না। সবাই বলছেন, হার্দিক পান্ডিয়া বল নয়, ম্যাচটাই যেন ছুঁড়ে ফেলে দিলেন! (Photo: AP)
advertisement
11/11
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের যা হওয়ার, তা তো হল! কিন্তু, আখেরে লাভ হল কলকাতা নাইট রাইডার্সের, তেমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আসলে, সোমবার দিল্লি ক্যাপিটালস আর মঙ্গলবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স হারের পর পয়েন্ট নষ্ট করে ফেলেছে। বুধবার চেন্নাই সুপার কিংসকে হারালে কেকেআর-এর পয়েন্ট বাড়বে। এদিকে, দিল্লি ক্যাপিটালস আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যেও একটা ম্যাচ আছে, এতেও যে কোনও এক দল হারবে। তাতে কেকেআর-এর প্রথম চারে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। বাকিটা ওই- ভাগ্য আর পারফরম্যান্সের ব্যাপার! (File Photo: AP)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের যা হওয়ার, তা তো হল! কিন্তু, আখেরে লাভ হল কলকাতা নাইট রাইডার্সের, তেমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আসলে, সোমবার দিল্লি ক্যাপিটালস আর মঙ্গলবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স হারের পর পয়েন্ট নষ্ট করে ফেলেছে। বুধবার চেন্নাই সুপার কিংসকে হারালে কেকেআর-এর পয়েন্ট বাড়বে। এদিকে, দিল্লি ক্যাপিটালস আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যেও একটা ম্যাচ আছে, এতেও যে কোনও এক দল হারবে। তাতে কেকেআর-এর প্রথম চারে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। বাকিটা ওই- ভাগ্য আর পারফরম্যান্সের ব্যাপার! (File Photo: AP)
advertisement
advertisement
advertisement