advertisement
বাংলা খবর » TAG » Virender Sehwag

বীরেন্দ্র সেহবাগ খবর

বীরেন্দ্র সেহবাগ: জীবন, পুরস্কার, কেরিয়ার এক ঝলকে

পুরো নাম: বীরেন্দ্র সেহবাগ

জন্ম: ২০ অক্টোবর, ১৯৭৮

উচ্চতা: ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার)

জাতীয়তা: ভারতীয়

ক্রীড়াবিদ: ওপেনিং ব্যাটসম্যান/ডান-হাতি ব্যাটসম্যান, ডান-হাতি অফ ব্রেক বোলার

পরিবার

বাবা: কৃষণ সেহবাগ

মা: কৃষ্ণা সেহবাগ

স্ত্রী: আরতি অহলাওয়াত

সন্তান: দুই পুত্র (আর্যবীর সেহবাগ এবং বেদান্ত সেহবাগ)

ভারতের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহবাগ দিল্লির শহরতলিতে জন্মগ্রহণ করেন  ১৯৭৮ সালের ২০ অক্টোবর। সচিন তেন্ডুলকারের খেলা এবং তাঁর স্টাইলের সঙ্গে এক আশ্চর্য সাদৃশ্য রয়েছে তাঁর। সবচেয়ে কম সংখ্যক বলে অসাধারণ ফুটওয়ার্ক ব্যবহার করে খেলার এক অসাধারণ ক্ষমতা তৈরি করেছিলেন সেহবাগ। মাত্র সাত মাস বয়সে খেলনা ব্যাট উপহার পেয়েছিলেন। ফলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাটিং এবং ক্রিকেটের প্রতি তাঁর মধ্যে একটা আলাদাই টান দেখা যায়। যদিও সেহবাগের বাবা-মা তাঁর স্বপ্নকে বিশেষ পাত্তা দেননি, কিন্তু ছেলের  জেদ এবং অধ্যবসায়ের কারণেই পরিবর্তন আসে তাঁদের মনোভাবেও। 

কেরিয়ারের সূচনা:

কলেজে স্নাতকের পাঠ চলাকালীন সেহবাগ ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে দলীপ ট্রফির জন্য নর্থ জোন ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান। এই সফল সিরিজের পর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার জন্য ডাক পান। আর সেখানে তাঁর চমৎকার পারফরমেন্স তাঁকে ভারতীয় জাতীয় দলে জায়গা করে দেয়।

আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেহবাগ:

জাতীয় দলে স্থান পেলেও দুর্ভাগ্যবশত ১৯৯৯ সালের ওডিআই অভিষেক ম্যাচে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ওই একই ম্যাচে তিনি ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়েছিলেন। এমন এক হতাশাজনক পারফরমেন্সের পরে সেহবাগ পরবর্তী ২০ মাস ভারতের হয়ে আর খেলার সুযোগ পাননি।

২০০১ সালের শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে অভিষেক হয় সেহবাগের। দল হারলেও তিনি ওই ম্যাচে ১০৫ রানের একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন।

২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বারমুডার বিরুদ্ধে সেহবাগ মাত্র ৮৭ বলে ১১৪ রান করে ভারতকে একটা অসাধারণ জয়ের উপহার এনে দেন। তাঁর পারফরমেন্স আরও ভাল হতে শুরু করে। ফলে তিনি ভারতের ক্রিকেট দলে পাকাপাকি জায়গা করে নেন। সেই সঙ্গে আগের রেকর্ডও ভাঙেন, ফলে তাঁর ঝুলিতে আসে সাফল্যের শিরোপাও।

আইপিএল কেরিয়ার:

এই টুর্নামেন্টের প্রথম দুই মরসুমে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের অধিনায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সেহবাগ। এর পর তিনি ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য গৌতম গম্ভীরের হাতে অধিনায়কত্বের ভার তুলে দেন। তবে পঞ্চম মরসুমে বীরেন্দ্র সেহবাগ ফের ওই দলেরই অধিনায়কত্বের ভার পান। ওই একই মরসুমে সেহবাগ পর-পর পাঁচটি ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েন।

অবসর:

২০১৫ সালে সমস্ত ফরম্যাটের ক্রিকেট এবং আইপিএল ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বীরেন্দ্র সেহবাগ।

রেকর্ড:

তাঁর উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের মধ্যে অন্যতম হল টেস্ট ইনিংসে দ্রুততম ১৫০, ২০০, ২৫০ এবং ৩০০ রানের রেকর্ড এবং ওয়ানডে-তে দ্রুততম ১৫০ এবং ২০০ স্কোর করার রেকর্ড। 

পুরস্কার:

২০০২ সালে অর্জুন পুরস্কার লাভ করেছেন বীরেন্দ্র সেহবাগ।

২০০৮ এবং ২০০৯ সালে তিনি পর-পর দু’বার ‘উইজডেন লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ পুরস্কারে ভূষিত হন। 

২০১০ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে।

আরো দেখুন …

সব খবর

advertisement
advertisement