কমল-সারিকা এবং মালাইকা-আরবাজের পথেই হাঁটতে চলেছেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং আরতিও? গ্রে ডিভোর্স আসলে কী? জেনে নিন বিশদে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Virender Sehwag Aarti Divorce: নিজের দূর সম্পর্কের তুতো-বোন আরতির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ তথা বীরু। দীর্ঘ কুড়ি বছরের সংসার তাঁদের। আর এত বছর পরে সেই দাম্পত্যজীবনেই ইতি টানতে চলেছে তাঁরা। এমনই গুঞ্জন সংবাদমাধ্যম জুড়ে।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন তারকা বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং আরতি সেহওয়াগের সংসারে ভাঙনের গুঞ্জন নিয়ে তোলপাড় সংবাদমাধ্যম। নিজের দূর সম্পর্কের তুতো-বোন আরতির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ তথা বীরু। দীর্ঘ কুড়ি বছরের সংসার তাঁদের। আর এত বছর পরে সেই দাম্পত্যজীবনেই ইতি টানতে চলেছে তাঁরা। এমনই গুঞ্জন সংবাদমাধ্যম জুড়ে। তবে জোর জল্পনা, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং আরতির মধ্যে গ্রে ডিভোর্স হতে পারে। কিন্তু এই গ্রে-ডিভোর্স আসলে কী। এর আগে এই পথে হেঁটেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসান এবং তাঁর স্ত্রী সারিকা। শুধু তা-ই নয়, বলিউড তারকা-জুটি মালাইকা অরোরা এবং আরবাজ খানও একই পথে হেঁটেছেন। এবার তাঁদের পথ অনুসরণ করতে চলেছেন সেহওয়াগ আর আরতিও।
advertisement
২০০৪ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। তাঁদের দুই পুত্র আর্যবীর এবং বেদান্তও ক্রিকেটে নিজেদের কেরিয়ার গড়তে চাইছে। তবে বীরেন্দ্র আর আরতির বিচ্ছেদের কথা শুনে তাই হতবাক হয়ে গিয়েছেন ক্রিকেট ভক্তরা। এবার প্রশ্ন উঠছে, গ্রে-ডিভোর্স আসলে কী? কারণ যত দূর জানা যাচ্ছে যে, এই পথেই হাঁটতে পারেন সেহওয়াগ এবং আরতি। এবার বিষয়টাকে বুঝিয়ে বলা যাক।
advertisement
গ্রে-ডিভোর্স আসলে বিবাহবিচ্ছেদ বা ডিভোর্সেরই একটি প্রক্রিয়া। যা বেশি বয়সে বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর আগে অবশ্য ভারতে গ্রে-ডিভোর্সের কোনও জায়গা ছিল না। যদিও আজকের যুগে অবশ্য মহিলারা আর্থিক ভাবে স্বাধীন। যার ফলে গ্রে-ডিভোর্সের প্রবণতা বাড়ছে। আসলে রোজকার ঝামেলা এড়ানোর জন্যই এই আর্থিক স্বাধীনতার জোরেই নিজেদের ব্যক্তিগত আনন্দ এবং সন্তুষ্টি বজায় রাখতে বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে আসছেন মহিলারা।
advertisement
গ্রে-ডিভোর্স সংক্রান্ত আইনি জটিলতা: তিরিশ কিংবা চল্লিশ বছর বয়সের বিবাহবিচ্ছেদের তুলনায় আলাদা গ্রে-ডিভোর্স। এখনকার যুগে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েই অর্থ উপার্জন করছেন। এই পরিস্থিতিতে দুই থেকে তিন দশক ধরে একসঙ্গে মিলে অর্থ রোজগার করে প্রচুর সম্পত্তি তৈরি করে। কিন্তু এই সম্পত্তির ভাগাভাগি ঘিরে তাঁদের আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। এর পাশাপাশি খোরপোষ এবং অবসরকালীন উপযোগিতার মতো বিষয়গুলিও বিবেচনা করে দেখে আদালত। ভারতে আদালতে ১৯৫৪ সালের হিন্দু বিবাহ আইনের অধীনে আইনি ভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। গ্রে-ডিভোর্সের ঘটনায় আদালত কিছু বিষয় পর্যালোচনা করে দেখে। এর মধ্যে অন্যতম হল - বিবাহের মেয়াদ, বয়স, দুই সঙ্গীর স্বাস্থ্য এবং তাঁদের আর্থিক অবস্থান। এই সমস্ত কিছু মাথায় রেখেই খোরপোষের বিষয়টা বিবেচনা করা হয়।
advertisement
কোন কোন তারকা গ্রে-ডিভোর্সের পথে হেঁটেছেন? এই প্রতিবেদনে আগেই বলা হয়েছে যে, তারকা জুটি কমল হাসান এবং সারিকা গ্রে-ডিভোর্সের পথে হেঁটেছেন। শুধু তাঁরাই নন, এই তালিকায় রয়েছেন পরিচালক প্রকাশ ঝা এবং অভিনেত্রী দীপ্তি নাভাল। ১৭ বছরের বিবাহিত জীবনের পর দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টেনেছেন তাঁরা। এদিকে ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল মালাইকা অরোরা এবং আরবাজ খানের। তাঁরাও গ্রে-ডিভোর্স ক্লাবে রয়েছেন। এর পাশাপাশি একই পথে হেঁটেছেন মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। দীর্ঘ সময়ের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন তাঁরা। এবার এই ক্লাবে নয়া সংযোজন হতে চলেছেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং আরতিও। এমনটাই গুঞ্জন ছড়িয়েছে।