আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে জলে ডুবে হ্যামিলটনগঞ্জ
উত্তর দিনাজপুরের স্বর্ণ ধান চাষের একটি বড় সুবিধে হল বর্ষার সময় অতিরিক্ত বৃষ্টিতে জমিতে জল দাঁড়ালেও স্বর্ণ-সাবওয়ান প্রজাতির ধানের ক্ষতি হয় না। বাকি ধান চাষের ক্ষেত্রে গোটা বিষয়টা কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো। স্বর্ণ সাবওয়ান ধানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, ৬-৭ দিন জলের তলায় থাকলেও এই ধান নষ্ট হবে না। এই প্রজাতির ধানের সহনশীলতা অনেক বেশি হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটাই বেশি। বর্ষার সময় এই ধান গাছ রোপন করা হয়। স্বর্ণ সাবওয়ান এই ধান চাষের আদর্শ জমি হচ্ছে মাঝারি নিচু অথবা একদম নিচু জমি।
advertisement
স্বর্ণ ধান ডাঙা ও খাল জমি দুটোতেই চাষ হয়। তবে এঁটেল ও দোঁ-আশ মাটিতে এর ফলন ভাল হয়। সামান্য অম্ল থেকে আরম্ভ করে ক্ষারযুক্ত জমিতে চাষ করলে ভাল ফলন হয়। এই ধান লবণাক্ত জমিতেও চাষ করা যায়। এই ধান রোপণের পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষি বিশেষজ্ঞ জিতেন বর্মন জানান, বর্ষা শুরু হওযার সঙ্গে সঙ্গে জমিতে হালকা লাঙল চালালেই হবে। এরপর বেশ ভাল পরিমাণ জৈব সার দিয়ে জমিকে তৈরি করে ফেলতে হবে। বীজ বপন যন্ত্রের সাহায্যে এরপরে স্বর্ণের বীজ বুনুন। কাদা জমিতে ধান রোপন করলে আগাছা কম হয়। নরম কাদায় চারা দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হয়।এই ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সার প্রয়োগ খুবই জরুরি। জৈব সার মাটির সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে দেওয়া দরকার। স্বর্ণ সাবওয়ান প্রজাতির ধান রোপণের প্রধান সময় আষাঢ়-শ্রাবণ মাস। ধান রোপণের পর জমিতে আগাছা তৈরি হলে সেগুলো কয়েকদিন পরে পরে তুলে দিতে হবে। ধানের শীষ বের হওয়ার ৩০-৩৫ দিন পরে ফসল কাটা হয়। মূলত অগ্রহায়ণ মাসে এই ধান কাটা হয়। চিকন দানাদার ও অধিক ফলনশীল স্বর্ণ সাবওয়ান বাজারে ৮০০ টাকা মন হিসেবে বিক্রি হয়।
পিয়া গুপ্তা