স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরেই সিকিমে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন রাজু। বৃহস্পতিবার পাঁচতলা একটি বিল্ডিংয়ে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাবশত নীচে পড়ে গুরুতর জখম হন তিনি। তড়িঘড়ি সিকিম মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাজুর বাড়িতে রয়েছেন তার বৃদ্ধ মা, এক সন্তান এবং অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। প্রায় তিন বছর আগে তার বিয়ে হয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তিনি। তাঁর এই মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়রা।
advertisement
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কুরবান আলি জানান, “পরিবারটি অত্যন্ত আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে। রাজু একাই সংসার চালাতেন।”
রামগঞ্জ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কামালউদ্দিন সরকার বলেন, “এই দুঃসময়ে আমরা পরিবারের পাশে আছি। সরকারি সাহায্য যাতে দ্রুত পৌঁছে যায়, সে বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।”
দুর্ঘটনায় এক তরতাজা যুবকের অকালমৃত্যুতে শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয়েছে বেতবাড়িতে। এলাকাবাসীর একটাই দাবি—পরিবারের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
