দীর্ঘ ১৫ বছর পর আমঘাটা স্টেশনে ফের রেলের চাকা গড়াতে শুরু করলেও এখনও খুশি নন স্থানীয়রা। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই আমঘাটা স্টেশন পরিদর্শনে এলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। এদিন স্টেশনে হাজির ছিলেন রেলের এডিআরএম। তিনি স্টেশন চত্বর ঘুরে দেখেন এবং কৃষ্ণনগর–আমঘাটা রেল পরিষেবা চালু রাখতে যাঁরা নিরলস পরিশ্রম করেছেন, সেই রেলের বেশ কয়েকজন কর্মী ও আধিকারিককে সম্মান প্রদান করেন।
advertisement
পরিদর্শনের পর এডিআরএম জানান, বর্তমান ট্রেনের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রয়োজন হলে শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সময়সূচি পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। কারণ, বর্তমান সময়সূচি যাত্রীদের উপকারে আসছে না বলে বহু অভিযোগ রেলের কাছে জমা পড়েছে।
এদিন আমঘাটা থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত রেল চালু করার দাবিও জোরালো ভাবে উঠে আসে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটক—সকলেরই মত, নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত রেল পরিষেবা চালু হলে যাতায়াতে সুবিধা বাড়বে বহুগুণ। একইসঙ্গে রেলেরও আয় বৃদ্ধি পাবে। এই বিষয়ে এডিআরএম জানান, স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তাঁদের মতামত শোনা হয়েছে। রেলের শীর্ষ মহলের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ ঘাট রেলস্টেশন বাঁচাও কমিটির সদস্যরাও। তারা এডিআরএম-এর কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। আলোচনার পর তাঁরাও আশাবাদী যে দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে। রেল পরিষেবা আরও উন্নত ও কার্যকর করতে রেল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
মৈনাক দেবনাথ





