কী এই মান্দাস ভাসান উৎসব? অনেকেই তা জানেন না। এটি একটি লৌকিক উৎসব। সাপের দেবী মা মনসাকে তুষ্ট করতে আর বেহুলা-লখিন্দরের স্মরণে ভাদ্র মাসের প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার আয়োজিত হয় এই শোভাযাত্রা।
advertisement
প্রাচীন বাংলার সুবিখ্যাত মঙ্গলকাব্য মনসামঙ্গলের কাহিনী অনুযায়ী বেহুলা লখিন্দরের ভেলা ভাসানোকে স্মরণ করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কথিত আছে, সাপের কামড়ে মৃত স্বামীর জীবন ফিরে পেতে বেহুলা ভেলা ভাসিয়েছিলেন নদীতে। সেই ভেলা এসে ঠেকে সুন্দরবনের নেতাধোপানী ঘাটে। এখান থেকেই স্বর্গে গিয়ে মৃত স্বামী লখিন্দরের জীবন ফিরিয়ে আনেন বেহুলা।
এই উপাখ্যানকে স্মরণ করে আজও সুন্দরবন জুড়ে বিভিন্ন নদ নদীতে চলে ভেলা ভাসানো। ভেলাতে দেওয়া হয় হাঁস। সমস্ত কিছুকে একসঙ্গে বলা হয় “মান্দাস ভাসান”। সুন্দরবন জুড়ে আয়োজিত হওয়া এই লৌকিক উৎসব আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।
মথুরাপুরের বটীশ্বরের মান্দাস ভাসানো উৎসব সবচেয়ে বড়। এখানে প্রতিবছর প্রায় দশ থেকে পনেরো হাজার মানুষ ভিড় করেন। এবছর সেখানে নিয়ে আসা হয়েছিল ঘোড়ার গাড়ি। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে পাঁচু গোপাল হালদার জানান, “এটাই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মান্দাস। স্থানীয় মানুষের ভক্তি ও ঐক্যের প্রতীক।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ ছাড়াও গাঙ্গেয় সুন্দরবনের একাধিক নদ, নদী, খালে এই মান্দাস ভাসান উৎসব চলে ভাদ্র মাস জুড়ে। সাধারণ মানুষজন বিপুল সংখ্যায় এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। এই উৎসবে আনা হয় জীবন্ত সাপ। যা নজর কাড়ে সকলের।