তবে এই বয়সে এখন থেকেই তাঁর কৃতিত্বের জেরে সে সকলকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। এই কর্মকাণ্ডের জন্য সম্প্রতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসেও নাম নথিভুক্ত হয়েছে ছোট্ট ময়ুখ চক্রবর্তীর। ময়ুখের বাবা মানস চক্রবর্তী বলেন, “এই বয়সে ও গায়ত্রী মন্ত্র, বাংলা থেকে ইংরেজি ট্রান্সলেট, সপ্তাহের নাম, ঋতুর নাম, ন্যাশনাল সিম্বল-সহ আরও বিভিন্ন কিছু ও বলেছে। এগুলো বলার জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এ ওর নাম নথিভুক্ত হয়েছে। ওর এই সাফল্যে আমরা খুবই গর্বিত।”
advertisement
আরও পড়ুন: কত ‘মাস’ বয়স থেকে শিশুকে ‘জল’ খাওয়ানো উচিত? জানুন সঠিক Age, সতর্ক হন, নইলে…!
ময়ুখের জন্য তাঁর বাড়িতে আলাদা ব্যবস্থাও রয়েছে। ঘরের মধ্যে দেওয়াল জুড়ে টাঙানো রয়েছে বিভিন্ন আলফাবেটের লিস্ট, প্রাণীদের ছবি, আকার আকৃতির থেকে শুরু করে পাখিদের ছবি সহ আরও অনেক কিছু। সেইসব দেখে খুব সহজেই সব বলতে পারে ময়ুখ। ময়ুখের মা কীর্তি দেবী তিনি নিজেই সবথেকে বেশি সময় দেন ছেলের পিছনে। খেলার ছলে সারাদিনে বিভিন্ন ধরণের বিষয় শেখান ছেলেকে।
ছোট্ট ময়ুখের স্মৃতি শক্তিও বেশ ভাল, তাই সে সহজেই সব মনে রাখতে পারে। কীর্তি দেবী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “ওকে খেলার ছলেই আমি এই সব কিছু শেখাতাম। পরবর্তীতে দেখলাম ওর স্মৃতিশক্তি খুব ভালো। তারপর ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এর বিষয়ে জানতে পেরে আমি সেখানে আবেদন করেছিলাম। পরবর্তীতে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড সিড আমার ছেলের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। আমরা খুবই আনন্দিত খুব ভালো লাগছে ওর এই সাফল্যে।”
পরিবারের সকলের ইচ্ছা ময়ুখ যেন বড় হয়ে মনুষের মত মানুষ হয়। তার এই কৃতিত্বের জেরে সকলেই খুবই খুশি হয়েছেন। আগামী দিনে ময়ুখকে আরও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবগত করাবেন বলেও জানিয়েছেন তার মা। তবে এতকিছুর মধ্যে সবথেকে আলাদা এই বয়সে গায়ত্রী মন্ত্র উচ্চারণ। সবমিলিয়ে এহেন প্রতিভা সত্যিই প্রশংসনীয়, ময়ুখের এই সাফল্যে খুশির হাওয়া শহরজুড়ে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





