East Bardhaman News: ৪০০ বছরের রহস্য! বর্ধমানের 'এই' জমিতে আজও হয় না কোনও ফসল, বয়ে বেড়াচ্ছে কোন 'অভিশাপ'?
- Published by:Sneha Paul
- hyperlocal
- Reported by:Sayani Sarkar
Last Updated:
East Bardhaman News: ওই জায়গার 'অভিশপ্ত' তকমাকে ঘোচাতে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পূর্বপুরুষরা একাধিকবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যতবারই চাষ করা হয়েছে, ততবারই অজানা কারণে সেই গাছ শুকিয়ে মরে গিয়েছে।
সোনাপলাশী, পূর্ব বর্ধমান, সায়নী সরকারঃ ৪০০ বছরের পুরনো রহস্য, যা আজও অমীমাংসিত। আধ কাঠা জায়গায় চেষ্টা করেও কোনও ফসল ফলানো যায়নি। স্থানীয়ভাবে ‘সতীডাঙা’ বা ‘সতীঝিল’ নামে পরিচিত এই জায়গা। কথিত আছে, এখানেই একসময় সতীদাহ করা হয়েছিল। জায়গাটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো এক ইতিহাস ও লোককথা।
বর্ধমানের সোনাপলাশী গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। এই গ্রামে তাঁদের প্রায় আধ কাটা জমি আছে। নয়-নয় করে প্রায় ৪০০ বছরেরও অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও ওই জায়গায় কিছুতেই চাষবাস করা যায়নি। অথচ চেষ্টার কসুর করেননি বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পুর্বপুরুষ থেকে শুরু করে বর্তমান পুরুষদের কেউ কেউ। কথিত আছে, ওই জায়গাটি অভিশপ্ত। কারণ একসময় ওই স্থানে সতীদাহ করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শীতের মরশুমে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান? বর্ধমানের ‘এই’ জায়গা হোক আপনার ডেস্টিনেশন, প্রকৃতি সাজিয়েছে অন্যরূপে
এই বিষয়ে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের বর্তমান বংশধর জ্যোতিপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে তিনি শুনেছেন তাঁদের পরিবারে ওই জায়গাটি সতীডাঙা বা সতীঝিল হিসেবে প্রচলিত। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাঁদের পুর্বপুরুষ কনৌজ থেকে এই গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন। সেই সময় সতীদাহ প্রথা চালু হয়েছিল। এই বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারেরই দুই সতীকে ওই জায়গায় দাহ করা হয়েছিল। তারপর থেকেই ওই জায়গাটি সতীডাঙা বা সতীঝিল বলে পরিবারে প্রচলন রয়েছে।
advertisement
advertisement
আগে ওই স্থান ঘন জঙ্গলে ঘেরা ছিল। গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে অবস্থিত এই জায়গায় সাধারণ মানুষ আসতেই ভয় পেতেন। এমনকি এখনও রাতের দিকে ওই জায়গায় যেতে চান না অনেকেই। ওই জায়গার ‘অভিশপ্ত’ তকমাকে ঘোচাতে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পূর্বপুরুষরা একাধিকবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যতবারই চাষ করা হয়েছে, ততবারই অজানা কারণে সেই গাছ শুকিয়ে মরে গিয়েছে। ধান চাষ করা হলে সেটাও অজানা কারণে শুকিয়ে মরে যায়। অথচ এই জায়গার পাশের জায়গাতেই সোনার ধান ফলছে। কোনও সমস্যা হয়নি।
advertisement
সম্প্রতি জ্যোতিপ্রকাশবাবু এই সোনাপলাশী গ্রামের অজানা ইতিহাসকে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছেন। একটি বই প্রকাশের ইচ্ছে রয়েছে। সেই কারণে তিনি গ্রামের অন্ধিসন্ধির তত্ত্বতালাশ করে চলেছেন। সেই সূত্রেই তিনি তাঁর পরিবারের অজানা কথা জানতে পারেন। ইতিহাস অনুসন্ধানের পাশাপাশি এর পিছনে লুকিয়ে থাকা বৈজ্ঞানিক কারণও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্ধমানের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ড. সর্বজিত যশ জানিয়েছেন, ১৮২৯ সালে সতীদাহ রদ হয়। বর্ধমান জেলা জুড়ে একাধিক জায়গায় সেই সময় সতীদাহ হত। খোদ বর্ধমান শহরেই রয়েছে নয়-নয় করে চারটি সতীদাহের জায়গা। এর মধ্যে কয়েকটি মন্দির এখনও টিকে রয়েছে। ১৮২৯ সালে সতীদাহ রদ হলেও বর্ধমানের একটি সতীদাহের জায়গায় ১৮৮০ সালেও সতীদাহ হয়েছিল।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Barddhaman (Bardhaman),Barddhaman,West Bengal
First Published :
October 29, 2025 4:00 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: ৪০০ বছরের রহস্য! বর্ধমানের 'এই' জমিতে আজও হয় না কোনও ফসল, বয়ে বেড়াচ্ছে কোন 'অভিশাপ'?
