পানিহাটিতে ‘NRC আতঙ্কে’ মৃত প্রৌঢ় প্রদীপ করের বাড়িতে বুধবার যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। মৃতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ পানিহাটিতে পৌঁছন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সঙ্গে ছিলেন বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘স্থানীয় বিজেপির নেতারা যদি এখানে ঢোকেন, ঘিরে ধরবেন তাঁদের। বলবেন, বাবা-ঠাকুরদার সার্টিফিকেট নিয়ে আয়। তারপর প্রচার করতে আসবি। বেঁধে রাখবেন। গায়ে হাত তুলবেন না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।’’ সেইসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘বলবেন, আগে সার্টিফিকেট নিয়ে আয়। বলবেন যা, তোর বাবার বার্থ সার্টিফিকেট, তোর দাদুর বার্থ সার্টিফিকেট, তোর ঠাকুরদার বার্থ সার্টিফিকেট, তোর দিদিমার বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে আয়।’’ সেই রেশ ধরে অভিষেক স্লোগান তোলেন, ‘‘সারা বাংলা জুড়ে একটাই স্বর জাস্টিস ফর প্রদীপ কর!’’ সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, এসআইআর নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাধারণ মানুষকে সহায়তা করার জন্য প্রতিটি জায়গায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা থাকবেন। তাঁরা সবরকমের সহায়তা করবেন মানুষকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক।

ক্যানবেরায় প্রবল বৃষ্টিতে বুধবার আর খেলা শুরু করা গেল না। বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে গেল। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম টি২০ ম্যাচ পরিত্যক্ত ৷

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে বিজেপি ৷ SIR ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আত্মহত্যা ৷ বৈধ ভোটারের নাম বাদে কমিশন ঘেরাও ৷ ভয় পাবেন না, বুকের রক্ত দিয়ে রক্ষা করব ৷ প্রাণ চলে গেলে কেউ ফেরাতে পারে না ৷ কমিশন-কেন্দ্র এখন নাগরিকত্ব স্থির করেছে ৷ ‘প্রদীপবাবুর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি ৷ বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না আশ্বাস অভিষেকের ৷ NRC-SIR মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে বলে দাবি অভিষেকের ৷
স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন নিয়ে জেলাশাসকদের প্রশিক্ষণ। জেলাশাসকদের পাশাপাশি ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO), অ্যাডিশনাল ইলেক্টরেল রেজিস্টেশন অফিসার (AERO)-সহ জেলা স্তরের আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। দুপুর ৩.৪৫ থেকে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করা হল। জেলায় জেলায় স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন নিয়ে কীভাবে কাজ হবে? বুথ লেভেল অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য কী কী গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে? বিস্তারিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে জানানো হবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে। রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরাও দিল্লি থেকে যোগ দিলেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার-সহ কমিশনের কয়েকজন আধিকারিক বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বলে কমিশন সূত্রে খবর। এই বৈঠক শুধুমাত্র রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গেই হচ্ছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গতকাল দুপুরেই খবর পাই। অত্যন্ত দুঃখের ঘটনা। SIR ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই ঘটনা। SIR, NRC ভয়ে তিনি নিজেই এটা করেছেন। আমি গতকাল, মঙ্গলবার নিজে কথা বলেছি প্রদীপবাবুর পরিবারের সঙ্গে। ওঁর ভাইয়ের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলে জানলাম উনি নিপাট ভদ্রলোক। দান ধ্যান করতেন। পাড়ায় মেলামেশা করতেন। এই পাড়ায় ওঁরা ৪০ বছরের বেশি বসবাস করছেন। সবাইকে হাতজোড় করে বলছি ভয় পাবেন না। আমরা আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচে আছেন। বাংলাদেশি বলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এত সহজ নয়। কলোনি এলাকায় যারা আছেন তাঁরা নির্ভয়ে থাকুন। একটা বৈধ ভোটার দিলে কমিশন ঘেরাও হবে এক লক্ষ লোক নিয়ে ৷ দিনহাটার খবর পেলাম। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন সুস্থ থাকেন ৷ একটা রাজনৈতিক দল আক্রমণ করছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে। তিনি লিখতে পারেন কিনা তা নিয়ে রাজনীতি করছে। এটা নিয়েও রাজনীতি! উনি এই পরিবার চালাতেন। তাঁর পরিবার এখন চিন্তায়। যারা সনাতন, সনাতনী। ধারক বাহক হিন্দু ধর্মের বলে তাঁরা কেউ খোঁজ নিয়েছে? এরা ঠিক করবে বাংলাদেশ থেকে কারা এসেছে। কারা থাকবে আর কারা থাকবে না? এর বদলা তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে ছাড়বে। সারা বাংলার একটাই স্বর, জাস্টিস ফর প্রদীপ কর। যারা এর পিছনে আছে তাদের জেলে পাঠাব ৷ কেন্দ্রীয় সরকার ভাবছে কী? অমিত শাহ তাঁর বাবার জন্মের শংসাপত্র দেখাতে পারবেন? কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে অনেক মন্ত্রী আছেন তারা দেখাতে পারবেন? যাঁরা কমিশনে থাকেন তাঁরা পারবেন? স্থানীয় বিজেপি নেতা আসলে গাছে, পোস্টে বেঁধে রাখবেন। গায়ে হাত দেবেন না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। বলবেন পরিবারের শংসাপত্র আগে নিয়ে আয়। তারপর ছাড়ব। কেউ ভয় পাবেন না। সব জায়গায় আমাদের কর্মীরা থাকবে। আমরা সাহায্য করব। তৃণমূল কংগ্রেস না থাকলে ভয় পেতেন। জবাব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ৷ প্রচারে আসলে হিসেব চাইবেন। ১১ বছর ধরে কী করেছেন? আমি আছি, ৪ তারিখ থেকে আমি রাস্তায় থাকব।’’
ক্যানবেরায় ফের বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ ৷ এ বার আরও জোরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে খেলা বন্ধ রয়েছে। ম্যাচের ওভার কমার সম্ভাবনা রয়েছে। খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ভারতের রান ৯.৪ ওভারে ৯৭/১। সূর্যকুমার ৩৯ ও শুভমন ৩৭ রানে ব্যাট করছেন। রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন সূর্যকুমার যাদব ও শুভমন গিল। বিশেষ করে সূর্যকুমার বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন। নেথান এলিসের এক ওভারে দু’টি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। অর্ধশতরানের জুটি গড়েছেন তাঁরা।
আগরপাড়ায় NRC আতঙ্কে আত্মঘাতী! মৃত প্রদীপ কর পানিহাটির ভোটার ছিলেন! ২০০২ সালে ২১৪ নং বুথের ভোটার ছিলেন! দাবি মৃত প্রদীপ করের পরিবারের। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ ৷ ডায়েরিতে লেখা মৃত্যুর জন্য দায়ী NRC! হাতের ৪টি আঙুল অর্ধেক কাটা ছিল প্রৌঢ়ের। তিনি ভালভাবে লিখতে পারতেন না বলে দাবি পরিবারের।
ডাইনি অপবাদে মারধর-হুমকি! একঘরে মহিলা ও তাঁর পরিবার! অভিযোগ আক্রান্তের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। পুরুলিয়ার বলরামপুরের ঘটনা। ভয়ে গ্রাম ছাড়ার ভাবনা পরিবারের। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে অভিযোগ।
বৃষ্টি থামতে আবার খেলা শুরু হল। ক্রিজে রয়েছেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ও সহ-অধিনায়ক শুভমন গিল।

ক্যানবেরায় বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। ভারতের ইনিংসের ৫ ওভারের পর বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে খেলা আপাতত বন্ধ। ক্রিকেটারেরা ডাগ আউটে বসে রয়েছেন। চালিয়ে খেলার মাসুল দিতে হল অভিষেক শর্মাকে (১৯)। চতুর্থ ওভারেই ফিরলেন তিনি। ভারত ৩৬-১।
চন্দননগরের আকাশে অসময়ের দুর্যোগ! খুলে ফেলা হচ্ছে রাস্তায় আলোর তোরণ। দুর্যোগে দুর্ঘটনা এড়াতে পদক্ষেপ পুজো উদ্যোক্তাদের। সকাল থেকেই দফায় দফায় ভিজছে চন্দননগর। দুর্যোগে গতকাল চন্দননগরে ভাঙে মণ্ডপ। দুর্যোগে দুর্ঘটনা এড়াতেই সতর্ক পুজো উদ্যোক্তারা।
সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে। শীঘ্রই ফলপ্রকাশ। গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে যা আপত্তি-অভিযোগ রয়েছে, সব ফলপ্রকাশের পরেই শোনা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
ঘূর্ণিঝড় মন্থায় সতর্কতা গঙ্গাসাগরে ৷ পুণ্যার্থীদের সতর্ক করতে মাইকিং ৷ সমুদ্র নামলে উঠে আসার পরামর্শ ৷ বকখালিতেও প্রশাসনের নজরদারি ৷
জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে আমতলায় শুভেন্দু অধিকারী ৷ নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করব বলে দাবি শুভেন্দুর ৷ তালিকায় মৃতের নাম থাকবে না বলে দাবি শুভেন্দুর ৷
বুধবার সকালে তারাতলায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। ইডি সূত্রে খবর, সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। চলছে টাকা গোনার পর্ব। কী ভাবে এত নগদ টাকা ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে এল, ওই টাকার সঙ্গে পুরনিয়োগ দুর্নীতির কোনও যোগ রয়েছে কি না, সে সব খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়া, লেকটাউনে একই ব্যক্তির একটি গুদাম রয়েছে। সেখানেও অভিযানে গিয়েছে ইডি-র আর একটি দল। তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে কয়েক কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।