কালিম্পংয়ের উপত্যকা এবং হিমালয়ের কুয়াশা মাঝে যেন লুকিয়ে আছে এই চুইখিম। বলাই যায় চুইখিম উত্তর বঙ্গের এক অজানা রত্ন যা পাহাড়ী দৃশ্য, সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত, ট্রেকিং, মাউন্টেন ভিউ, পাখি এবং প্রজাপতি পর্যবেক্ষণ সহ প্রসারিত। এটি একটি অ্যাড্রেনালাইন ভরা অ্যাডভেঞ্চারে পরিপূর্ণ জায়গা, জলপ্রপাত, গভীর জঙ্গল, প্রজাপতি প্রেমীদের জন্য একটি স্বর্গ, ভিলেজ হাইকিং হয় এখানে। এখানে গেলে দেখা যাবে গুটিকয়েক পরিবার নিয়ে শান্তিতে রয়েছে এখানকার মানুষ। আপনি নিশ্চিন্তে আপনার ভালবাসার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একান্তে সময় কাটাতে চাইলে চুইখিমে ঘুরে আসতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ইচ্ছে হলেই আর সান্দাকফু যেতে পারবেন না, নিয়মে বড়সড় বদল! কীভাবে মিলবে ছাড়পত্র? জানুন
শুনলে হয়তো অবাক হবেন এখানে রয়েছে প্রায় ২৬০টি পরিবার। তারা এখানে ছোট্ট ছোট্ট জমিতে নিজেরাই চাষ করেন ধান, গম-সহ আরও বিভিন্ন শাক-সবজি। এখানে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে আছে গরু, তাই দুধ ও গোবর দুইই ঘরের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উপকরণ হয়ে ওঠে। আর মুরগি পালনও একই উদ্দেশ্যে। কালিম্পংয়ের এই ছোটো গ্রামটির উচ্চতা ৩৫০০ ফুট।
এখানে যেমন বেশীরভাগ মানুষই কৃষিজীবী তার পাশাপাশি এখানে হয় ফুলঝাড়ু তৈরির গাছ। চাষের কাজে সম্পূর্ণভাবে প্রয়োগ করা হয় জৈব সার। কেউ কেউ বন বিভাগের প্রকল্পে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করেন। এদিক-ওদিক মজুরের কাজও হয়, তবে তা কদাচিৎ। ফুল ও অর্কিডের শোভা এখন চুইখিমের শরীর জুড়ে। প্রকৃতিরানি এখানে সৌন্দর্যের আলপনা এঁকেই ক্ষান্ত নন। অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত মানুষগুলি। প্রত্যাশা কম, তাই আক্ষেপও নেই অপ্রাপ্তির। তাই একান্ত ভালবাসার মানুষকে নিয়ে একবার ঘুরে যেতে পারেন চুইখিম।
অনির্বাণ রায়





