বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র গৌতম দেব জানান, “আগামী ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনকে সঙ্গে নিয়েই এই বছর বড়দিনের অনুষ্ঠান আরও বৃহৎ ও আকর্ষণীয়ভাবে পালন করা হবে।” তাঁর কথায়, এই উৎসব শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং শহরের সার্বিক সাংস্কৃতিক আবহকেও তুলে ধরবে।
advertisement
উৎসবের মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোকসজ্জা। এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, “২২ ডিসেম্বর একটি বিশেষ শোভাযাত্রা বের করা হবে, যা ইয়ারভিউ মোড় থেকে শুরু হয়ে নির্দিষ্ট রুট ধরে শেষ হবে। পাশাপাশি শহরের প্রধান প্রধান রাস্তা সারি সারি লাইট দিয়ে সাজানো হবে, যাতে বড়দিনের উৎসবের আনন্দ শহরের প্রতিটি কোণে পৌঁছে যায়।” তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে থাকা দু’টি আইল্যান্ড পুনরুদ্ধার করে সেগুলির উদ্বোধনও ওই দিনই করা হবে।
বড়দিন থেকে নববর্ষ পর্যন্ত টানা উৎসবের মেজাজ ধরে রাখতে শহরজুড়ে চলবে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিশেষ সাজসজ্জা ও আলোকায়ন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে উৎসবে শামিল হতে পারেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সব মিলিয়ে, বড়দিনকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়ি এবার শুধুমাত্র উৎসব নয়, সম্প্রীতি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে সাজতে চলেছে নতুন রূপে। শহরবাসীর পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও এই উৎসব যে বাড়তি আকর্ষণ হয়ে উঠবে, সে বিষয়ে আশাবাদী প্রশাসন।





