নিজের বিয়ে আটকাতে থানায় এসে হাজির হল নাবালিকা স্কুলছাত্রী। পুলিশের কাছে আবেদন, ‘আমি বিয়ে করতে চাই না। আমার বাবা আমাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছে। আপনি ব্যবস্থা করুন। আমি লেখাপড়া করতে চাই।’
advertisement
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার অমৃত মুনি গ্রামে। বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রী আন্দি থেকে বাস ধরে হাজির হন কান্দি বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে কান্দি থানার আইসি মৃণাল সিনহার কাছে। আইসি মৃণাল সিনহা ওই নাবালিকাকে সামনে বসিয়ে সমস্ত ঘটনা শুনে কথা দেন কারও ক্ষমতা নেই তার বিয়ে দেওয়ার।
এরপরই নাবালিকার দেওয়া ঠিকানায় তার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। পাশাপাশি মেয়ের মামার বাড়ি খড়গ্রাম থানার চন্দ্রসিংহ বাটিতে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে নাবালিকার বাবা থানায় না এলেও মামা এসে হাজির হন এবং ভাগ্নিকে বুঝিয়ে পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। এদিন কান্দি থানার আইসি মৃণাল সিনহা নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর লেখাপড়ার খরচের সমস্ত দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং নাবালিকার মামাকে খাওয়া পড়ার দায়িত্বভার নেওয়ার জন্য আবেদন করলে মামা আজকের পর থেকে ভাগ্নির খাওয়া পরার দায়িত্ব নেন।
আরও পড়ুনঃ বাড়ি বাড়ি কল আছে কিন্তু এক ফোঁটাও জল নেই! বর্ধমানের এই গ্রামে জলের হাহাকার, শীতেও জল সঙ্কট চরমে
কান্দি থানার আইসি জানিয়েছেন, নাবালিকা স্কুলছাত্রী বড়ঞা থানা এলাকার বাসিন্দা। ওই ছাত্রীর মা তিন বছর আগে মারা গিয়েছে। দুই বোন। এটা বড় বোন। বাবার কাছেই থাকতো। আন্দি লালচাঁদ হাই স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। ছোট বোন কলকাতায় মাসির বাড়িতে থাকে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নাবালিকা স্কুলছাত্রী জানিয়েছে, “আমার বাবা কিছুদিন ধরেই আমার বিয়ে ঠিক করছিল। আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। আমি বিয়ে করবো না। লেখাপড়া করতে চাই। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। কিন্তু আমার কোন কথাই বাবা শুনতে চাইনি। পাশের গ্রামের ৩৫ বছরের এক যুবকের সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক করেছিল। শনিবার বিয়ে দিন। আমি বাবাকে বুঝিয়েছি। কিন্তু বাবা কোনমতেই রাজি হয়নি। এজন্য আমি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে পালিয়ে কান্দি থানায় এসে সাহায্য চাই। পুলিশ কাকু আমার যে দায়ভার গ্রহণ করেছে আমি খুবই খুশি। আগামী দিনে আমি লেখাপড়া করতে চাই।”





