এবার সেই সমস্ত হারিয়ে যাওয়া বিষয়গুলি মাথায় নিয়ে বিগ বাজেটের পুজো করছে রামপুরহাট নবীন ক্লাব। বর্তমানে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে দিন রাত লাগাতার বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করেই জোড় কদমে চলছে শেষমুহুর্তের প্রস্তুতি। গোটা বিষয়টি রূপায়নে এবং সৃজনে রয়েছেন মেদিনীপুরের তমলুকের পোলিও আক্রান্ত শিল্পী রাজকুমার ঘরা। মন্ডপসজ্জা এবং থিম তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রায় ১৯ ফুট উচ্চতার প্রতিমা তৈরি করছেন কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পী বাপ্পা ও ছোট্টু।
advertisement
আরও পড়ুন: এই শাড়ি কিনতে উপচে পড়ছে ভিড়! দামেও বেশ সস্তা
মূর্তি তৈরি থেকে শুরু করে মণ্ডপসজ্জা সবকিছুতেই প্রকৃতির রক্ষার বার্তা দিচ্ছেন ক্লাবের সদস্যরা। প্রাকৃতির উৎপাদন দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মন্ডপ পিতল বা কাঁসা দিয়ে তৈরি মণ্ডপ। এর সঙ্গে রয়েছে হারিয়ে যাওয়া ডোকরা শিল্পীর ছোঁয়া। নবীন ক্লাবের মূল উদ্যোক্তা এবং কোষাধ্যক্ষ উজ্জ্বল ধীবর জানান, “প্রতিবছর নবীন ক্লাব মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে প্রকৃতি রক্ষার বার্তা দিয়ে থাকেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। এবছর ২৩ তম বর্ষের বাজেট আনুমানিক ২৩ লক্ষ টাকা। বর্তমান আধুনিকতার যুগে এখন আর সেভাবে চোখে পড়ে না মাটির তৈরি জিনিস, পাট শিল্প ও অন্যান্য হারিয়ে যাওয়া শিল্প। মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া সেই সমস্ত দৃশ্য সাধারণ দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরতে প্রয়াসী আমরা।”
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচতে বিশাল উঁচু প্যান্ডেল করা যাবেনা! জানিয়ে দিল জেলা প্রশাসন
পুজোর কয়েকটা দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বস্ত্রদান, কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন থাকবে। উল্লেখ্য, নবীন ক্লাবের পুজো মানেই রয়েছে নতুনত্ব উপস্থাপনা আর তার সঙ্গে রয়েছে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। শুধু যে রামপুরহাট এলাকার মানুষজন তা নয় জেলা ছাড়াও মুর্শিদাবাদ ও লাগোয়া ঝাড়খন্ড থেকেও বহু মানুষ প্রতিমা ও মন্ডপ দর্শনের জন্য ছুটে আসেন। জানা যায় গত বছরের থিম ছিল স্বপ্নের দেশ যা সাড়া ফেলেছিল গোটা রামপুরহাট জুড়ে।
সৌভিক রায়