<p><span style="font-weight: 400;">রবিচন্দ্রন অশ্বিন: জীবন, সাফল্য, কেরিয়ার এক ঝলকে!</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">পুরো নাম</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">রবিচন্দ্রন অশ্বিন</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">জন্ম</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">উচ্চতা</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার)</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">জাতীয়তা</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">ভারতীয়</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">ক্রীড়াবিদ</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">অল রাউন্ডার, ডানহাতি অফ ব্রেক এবং ডানহাতি ব্যাটসম্যান</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">পরিবার</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">পিতা: রবিচন্দ্রন</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">মা: চিত্রা</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">স্ত্রী: প্রীতি নারায়ণ</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">কেরিয়ারের সূচনা</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">অশ্বিন প্রথমে একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছিলেন। তিনি অনূর্দ্ধ-১৭ ভারতীয় দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতেন কিন্তু ফর্মের অভাবে রোহিত শর্মাকে তাঁর জায়গা দেওয়া হয়। এর পর তিনি তামিলনাড়ু ক্রিকেট দল এবং দক্ষিণ অঞ্চলের হয়ে স্পেশালিস্ট বোলার হিসেবে খেলা শুরু করেন। অশ্বিন একজন ফাস্ট বোলার হিসাবে তাঁর কেরিয়ার শুরু করলেও কিছু দিন পরেই তিনি একজন স্পিন বোলার হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। </span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">আন্তর্জাতিক কেরিয়ার</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">ওয়ান ডে</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">২০১০ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তার দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পর ২০১২ সালের মে-জুন জিম্বাবোয়ে স্কোয়াডে তাঁর নাম আসে। ২০১০ সালের ৫ জুন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অশ্বিন তাঁর ডেবিউ ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেন। এই ম্যাচে তিনি ৩২ বলে ৩৮ রান করেন এবং ৫০ রান দিয়ে ২টি ইউকেট নেন। এর পর ভারতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার সুযোগও পান। যদিও তাঁর ৬২ রানের গড়ের জন্য তাঁকে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ২০১৩ সালের আইসিসি চাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২টি ইউকেট নেন এবং পুনরায় দলে তাঁর স্থান ফিরে পান। </span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">টেস্ট</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অশ্বিন তাঁর প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেন। এই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৮১ রানে ৩টি উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৭ রানে ৬টি উইকেট নেন। তাঁকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের খেতাব দেওয়া হয়। এই ম্যাচেই তিনি একটি সেঞ্চুরিও মারেন। </span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">টি২০ </span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">হারারেতে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি-২০ ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছিল অশ্বিনের। চার ওভারে তিনি ২২ রান দিয়ে তিনি ১টি উইকেট নেন। তাঁর এই পারফরমেন্সের ভিত্তিতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য অশ্বিনকে নির্বাচিত করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি খেলার সুযোগ পাননি কারণ পুরো সিরিজে তাঁর চেয়ে প্রজ্ঞান ওঝা এবং রবীন্দ্র জাদেজাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল।</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">ক্লাব ক্রিকেট</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">অশ্বিন ২০০৯ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে তাঁর আইপিএল কেরিয়ার শুরু করেন। তিনি সিএসকে-এর সঙ্গে ২০১০ এবং ২০১১ সালে পর পর জয়ী দলের অংশ হন। ২০১৬ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞার পর অশ্বিনকে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসের তরফে কেনা হয়। অশ্বিন ২০১৬ সালে আইপিএল খেলেন কিন্তু স্পোর্টস হার্নিয়ার কারণে ২০১৭ সিজন খেলতে পারেন না। ২০১৮ সালের অকশনে অশ্বিনকে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ৭.৬ কোটি টাকা দিয়ে কেনে এবং তাঁকে অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। অশ্বিনের আইপিএল কেরিয়ারের সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনাগুলির মধ্যে একটি হল আইপিএল ২০১৯-এর জস বাটলারের ম্যানক্যাডিং।</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">রেকর্ড</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">অশ্বিন ভারতের প্রথম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় স্পিন বলার যিনি ২০০ টেস্ট উইকেট নিয়েছেন।</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">প্রথম ভারতীয় যিনি দুইবার একই টেস্ট ম্যাচে ৫টি উইকেট নিয়েছেন এবং সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।</span></p>
আরো দেখুন …