মেদিনীপুর জেলার আনাচে কানাচে রয়েছে নানা অজানা ইতিহাস। রয়েছে নানা কাহিনী। প্রাচীন ইতিহাস ঘিরে রয়েছে নানা কিংবদন্তি।এমন এক প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী ও নিদর্শন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরার ভগ্নপ্রায় মন্দির, কেদার ভুড়ভুড়ী ও চপলেশ্বর জীউর মন্দির। প্রায় ৭০০ বছরের প্রাচীন এই মন্দির। এই মন্দিরের সাথে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাসের নানা কাহিনী।শিবরাত্রি ও চতুর্দশী উপলক্ষে বসেছে মেলাও। পনেরো দিন ধরে চলবে এই মেলা।
advertisement
আরও পড়ুন : ৬ ফুট উচ্চতার শিবলিঙ্গ বর্ধমানেশ্বর সাড়ম্বরে পূজিত মহাশিবরাত্রির পুণ্যলগ্নে
বহু বছর আগে শুরু হয়ে এখনও পরম্পরায় চলেছে এই কেদার ভুড়ভুড়ি চপলেশ্বর জীউর মন্দিরে এর পুজো। মন্দিরের পূর্ব দিকে রয়েছে সেই ঐতিহাসিক কেদার ভুড়ভুড়ি। এখনও মানুষের বিশ্বাস ওই কেদার ভুড়ভুড়ি একটি উষ্ণ প্রস্রবণ। জলে স্নান করলে সর্ব রোগ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। যা মন্দিরের শিবলিঙ্গর সাথে যুক্ত রয়েছে। বর্ষাকালে আজও নাকি ভুড়ভুড় করে মাঝেমধ্যে জল উঠতে দেখা যায়।
মন্দিরের ইতিহাস ঘাটলে নানা মত পাওয়া গেলেও মানুষের বিশ্বাস যাদের সন্তান-সন্ততি হয় না, সর্বক্ষণ রোগ জ্বালায় জর্জরিত এই মন্দিরে এসে ওই কেদার ভুড়ভুড়িতে স্নান করে পুজো দিলেই সন্তান-সন্ততি লাভ হয়।
পাশাপাশি সব রোগ থেকে নিরাময় হওয়া যায়। মন্দিরটি নির্মিত রয়েছে পুরোটাই পাথরের। সারা বছর বিভিন্ন দিনে এখনওভিড় জমে ভক্তদের। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ কামনা পূরণের জন্য আসেন এই মন্দিরে। পাশাপাশি পনেরো দিন ধরে চলে পুজো অর্চনা ও মেলা।