ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার ঘাটাল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাংশু ভৌমিকের কাছে খবর পৌঁছয় ঘাটাল থানার মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বরকতিপুর বাসিন্দা সুজিত মন্ডলের বাড়িতে এক নাবালিকা মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। খবর জানতে পেরে দৌড়ে য়ায় পুলিশ, পুলিশ গিয়ে বুঝতে পারে ১৫ বছরের এক নাবালিকা মেয়ের বিয়ে। আর পুলিশ দেখেই রাতের অন্ধকারে দৌড়ে পালিয়ে যায় বিয়ের আসরে থাকা উপস্থিত সকলেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কুড়মী জাতিকে 'এসটি' তালিকা ভুক্ত করা সহ ৩ দফা দাবিতে ব্যাপক অবরোধ
তবে পালাতে পারেনি ১৫ বছরের নাবালিকা, পাত্র সুরেন্দ্র দলুই, ব্রাহ্মণ স্বপন চক্রবর্তী। পুলিশ রাতেই তাদের আটক করে নিয়ে য়ায় ঘাটাল থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর ১৫ বছরের ওই নাবালিকা খানাকুল থানা তাঁতিশাল গ্রামের বাসিন্দা, আর পাত্র সুরেন্দ্র দলুই (২৬) বছর বয়সি খানাকুল থানার পাঁচকুঠুরি গ্রামের বাসিন্দা। তাদের আত্মীয় বাড়ি ঘাটালের বরকতিপুর গ্রামের সুজিত মন্ডলের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে নাবালিকার মেয়ের গোপনভাবে বিয়ের আসর বসিয়েছিলেন। আর বিয়ের মাঝে পুলিশ পৌঁছে পণ্ড করল নাবালিকা মেয়ের বিয়ে।
আরও পড়ুনঃ ছিনতাই কাণ্ডে কোচবিহার থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র
যদিও ঘাটাল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাংশু ভৌমিক জানান, অভিযুক্তদের মঙ্গলবার ঘাটাল আদালতে তোলা হলে আদালত পাত্র সুরেন্দ্র, পুরোহিত স্বপন চক্রবর্তীর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, একাধিকবার নাবালিকা মেয়ের বিয়ে বনধের জন্য সচেতন মূলক প্রচার চালানো হয়েছে, কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি পরবর্তীকালে পুলিশ আরও কঠোর আইন প্রয়োগ করবে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার অপরাধে।
Partha Mukherjee