শহরের অলিগলি থেকে মোড়ের মাথায় কিংবা বাজার-সহ অভিজাত এলাকায় স্ট্রিট ফুড থেকে রেস্তোরাঁয় মিলছে দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় খাবারের নানান আইটেম। চাহিদা থাকায় রাস্তার ধারে ঠেলাগাড়ি থেকে বড় বড় রেস্তোরাঁয় ওই খাবার খেতে ভিড় করছেন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ, দাবি ব্যবসায়ীদের। গত কয়েক বছরে দক্ষিণী খাবারের দোকান হু হু করে বেড়ে চলেছে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে।
advertisement
শিল্পাঞ্চল জুড়ে রয়েছে বহু ছোট বড় কলকারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাই বহু মানুষ কর্মসূত্রে এই শহরে আসেন নিত্যদিন। শহরবাসীর ব্যস্ত জীবনে ব্রেকফাস্ট হোক বা স্ট্রিট ফুডের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। যার কারণে রাস্তার ধারে ঠেলাগাড়ি থেকে হোটেল, রেস্তোরাঁয় ভিড় করেন চাকুরিজীবী বা কর্মজীবী মানুষ। সাধারণত জলখাবার বলতে শহরে মেলে লুচি, পুরি, পরোটা অথবা চপ মুড়ি৷ ওই সমস্ত খাবারে তেলের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা প্রতিদিন খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার, বিধাননগর ও বেনাচিতি বাজার এলাকায় প্রায় ৩০-৪০ বছর ধরে দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় খাবারের তিনটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ওই রেস্তোরাঁ গুলিতে মেলে ইডলি- সাম্বর, দোসা, উপমা, দইবড়া ইত্যাদি দক্ষিণ ভারতের নানান লোভনীয় পদ। এই ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ ভারতীয় খাবারগুলি সুজি, চালের গুড়ো দিয়ে তৈরি করা হয়। সাম্বারে ডাল-সহ নানান শাকসবজি, কারিপাতা ইত্যাদি থাকে। তেল প্রায় থাকে না বললেই চলে। তাই এই সমস্ত নাস্তাগুলি স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শহরের অলিতে-গলিতে ঠেলাগাড়ি নিয়ে এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইডলি, ধোসা-সহ সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারগুলি বর্তমানে বিক্রি করছেন বহু মানুষ। শহরবাসীর মধ্যে চাহিদা থাকায় দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু ব্যবসায়ী এই ব্যবসা জমিয়ে তুলতে শহরে হাজির হয়েছেন।
অন্যান্য তেলেভাজা খাবারের চেয়ে দামেও অনেক সস্তা হওয়ায় পেট ভরে খাওয়া যায় এই সমস্ত খাবার। যার কারণে আরও বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন মানুষ। গরমকাল হোক বা শীতকাল সারা বছর এই খাবারের চাহিদা রয়েছে শিল্পাঞ্চলে। ধীরে ধীরে দক্ষিণী খানায় মজছে শহরবাসী।





