এভাবেই সুন্দরবনের বাদাবন কিংবা নদী বাঁধ রক্ষায় ব্রতি হয়েছেন সুন্দরবনের মহিলারা। উল্লেখ্য, বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে সুন্দরবনের জঙ্গল কিংবা নদীখাড়ির বাদাবন ম্যানগ্রোভের চারা গাছে যেমন, গরান, কেওড়া, হেতাল, কাকড়া, সুন্দরী সহ বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছের বীজ সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর এলাকার মহিলারা বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগে নিজেদের উদ্যোগে বাড়িতেই তৈরি করেন মিনি নার্সারি। সেখানে তৈরি হয় কয়েক হাজার চারা। আর এই চারা গাছ তৈরি করার জন্য বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
advertisement
নদীর ধারে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের করাল গ্রাসে বারেবারে ক্ষতবিক্ষত হতে হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মাঝে কেটেছে দীর্ঘ একটা যুগের বেশি সময়। কিন্তু সুন্দরবন সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষের চোখে আজও টাটকা ‘আইলা’ ইয়াস, আম্ফনের মত বিধ্বংসী প্রলয়রূপের দুঃসহ স্মৃতি। নদীর পাড়ের মানুষরা দুর্যোগের আশঙ্কায় প্রহর গুনতে থাকেন।
আরও পড়ুন: West Bardhaman News: তিন মাসেই ১২২ জন, জেলায় বাড়ছে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা! চিন্তায় জেলা প্রশাসন
আর সেজন্য নদী বাঁধ রক্ষায় অন্যতম মাধ্যম হল নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভের সবুজ অরণ্য তৈরি করা। আর সেই কাজে ব্রতি হল সুন্দরবনের মহিলারা। এভাবে বাড়িতে ম্যানগ্রোভের চারা গাছ তৈরি করার মাধ্যমে একদিকে তারা যেমন স্বনির্ভর হচ্ছেন ঠিক অন্য দিকে নিজেদের সুরক্ষা বলায় নিজেরাই তৈরি করছেন।