West Bardhaman News: তিন মাসেই ১২২ জন, জেলায় বাড়ছে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা! চিন্তায় জেলা প্রশাসন

Last Updated:

West Bardhaman News: অনেকে আংশিক সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ হাত, পায়ের আঙুল হারিয়েছেন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে।

+
লছিপুরের

লছিপুরের মহাত্মা গান্ধী কুষ্ঠ পল্লী।

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান: পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলায় কুষ্ঠ রোগকে লো এনডেমিক হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এই কুষ্ঠ রোগ ব্যাপকভাবে চিন্তা বাড়িয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। কারণ বিগত তিন মাসে হু-হু করে বেড়েছে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা। লেপ্রসি কেস ডিটেকশন ক্যাম্পের মাধ্যমে বিগত তিন মাসে নতুন ১২২ জন রোগীর হদিস পাওয়া গিয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সেই সংখ্যা ২৫৩ জন। সব মিলিয়ে বর্তমানে জেলায় কুষ্ঠ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৪৫ জন।
বাড়তে থাকা রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। কিভাবে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তা নিয়ে নানা রকম পরিকল্পনা শুরু হয়েছে কিন্তু হঠাৎ করেই কেন জেলায় বাড়ছে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা? স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক আধিকারিক মনে করছেন, ঝাড়খন্ড থেকে প্রতিদিন বহু মানুষ এই জেলায় আসেন। কিন্তু তাদের অনেকেই পরীক্ষা করান না। যা এই রোগের সংখ্যা বৃদ্ধির বড় কারণ বলে মনে করছেন তারা। পাশাপাশি সামাজিক বয়কটের ভয়ে অনেক রোগী আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসা করাতে চান না। তার ফলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে ধারণা।
advertisement
তবে স্বাস্থ্য দফতর কুষ্ঠ রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তার জন্য নানা রকম পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শুরু হয়েছে লেপ্রসি কেশ ডিটেকশন ক্যাম্প। এর মাধ্যমে দ্রুত রোগীদের চিহ্নিত করে তাদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, আগের মত কুষ্ঠ রোগ এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে না। তার আগে রোগীদের চিহ্নিত করা হয়। চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে রোগীদের সমস্ত রকম ভয় দূরে সরিয়ে চিকিৎসার জন্য আসতে হবে। এই ধরনের কোনও রোগী যাতে স্বাস্থ্য দফতরের নজরের বাইরে না যায়, সেদিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: Winter Health Tips: শীতের এক পরোটাতেই হাড় হবে ইস্পাতের মত! মারণ রোগ পায়ের তলায় পিষে ফেলবে, শরীর তো নয় যেন বুলেটপ্রুফ
অন্যদিকে জেলায় বেশ কয়েকটি কুষ্ঠ কলোনি রয়েছে। কিন্তু সেখানেও পর্যাপ্ত পরিকাঠামো এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কুলটির লচিপুরে রয়েছে একটি কুষ্ঠ কলোনি। সেখানে বর্তমানে ৩০টি পরিবারের বসবাস। যাদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আবার অনেকে আংশিক সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ হাত, পায়ের আঙুল হারিয়েছেন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। আর্থিক অসচ্ছলতা রয়েছে তাদের। ভিক্ষাবৃত্তি তাদের জীবিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক জানিয়েছেন, এখন বাড়িতে থেকে এই রোগের চিকিৎসা করানো সম্ভব। তাই কুষ্ঠ কলোনি গুলির গুরুত্ব কমেছে। তবে অনেকেই কুষ্ঠ কলোনিগুলির পরিকাঠামো নিয়েও চিন্তা প্রকাশ করছেন।
advertisement
নয়ন ঘোষ
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Bardhaman News: তিন মাসেই ১২২ জন, জেলায় বাড়ছে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা! চিন্তায় জেলা প্রশাসন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement