বিশেষ করে কাটোয়ার ডাবপট্টি অঞ্চলের দোকানগুলিতে এখন দেদার বিকোচ্ছে এই কৃত্রিম মুণ্ডু। এক একটি মুণ্ডুর দাম পড়ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা এই মুণ্ডুগুলি দেখতে আসলের মতই – খাঁজকাটা দাঁত, ফোঁসফোঁসে চোখ, অনেকগুলিতে আবার আলো ও শব্দের ব্যবস্থাও রয়েছে। ব্যাটারি লাগালেই গা ছমছমে আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলার জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডাকাত দল! খাঁড়া হাতে দেব সঙ্গে ইধিকা, কাছে যেতেই…
স্থানীয় ব্যবসায়ী গোপাল বৈরাগ্য জানান, “গত তিন-চার বছর ধরে আসল মুণ্ডুর ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন, পুলিশও নিয়মিত সতর্ক করে। তাই প্ল্যাস্টিকের মুণ্ডুই এখন গাজনের মূল আকর্ষণ। দিনে গড়ে ৫০-৬০টি মুণ্ডু বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।” শুধু মুণ্ডু নয়, দোকানে এখন মিলছে ডাকিনী-যোগিনী, পিশাচ সাজের যাবতীয় উপকরণও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গাজনের শ্মশান সন্ন্যাসিরা কেউ পিশাচ সেজে, কেউ বা ডাকিনী-যোগিনীর বেশে নাচ, আচারে অংশ নিচ্ছেন। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রেখেই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলাচ্ছে গাজনের শ্মশান খেলা—সেই বদলেরই নতুন চেহারা প্ল্যাস্টিকের এই মুণ্ডু।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী






