বিভিন্ন পরিবারে বিভিন্ন রকম রীতি নীতি রয়েছে এই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর। বিভিন্ন রকম ভাবে মা লক্ষ্মীর রূপকে তুলে আরাধনা করা হয়। ইতিমধ্যে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষে নদিয়া জেলার তাহেরপুরের শুভঙ্কর কুন্ডু-সহ বেশ কিছু পটশিল্পীর ব্যস্ততা তুঙ্গে। নাওয়া খাওয়া এমনকী দম ফেলার সময় নেই পট শিল্পীদের।
আরও পড়ুন: ঠিক রাত বারোটা, এল একটি ফোন, বদলে গেল সব! হঠাৎ কার ‘কথায়’ গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয়?
advertisement
লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পুজো উপলক্ষে বেড়েছে সরার ওপর চিত্রের চাহিদা। সরা মানে মাটির তৈরি গোলাকার এক ধরনের থালা। তার উপরের অংশ ঘসে মসৃণ করে খড়ি মাটির প্রলেপ দিয়ে নানা উজ্জ্বল রং দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় দেবদেবীর চিত্র। এই সরার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই দেখা যায়। লক্ষ্মীর সরা হয় নানা রকমের। লক্ষ্মী সরা, দুর্গা সরা, এক লক্ষী, দুই পুতুল অর্থাৎ লক্ষ্মী ও নারায়ণ, তিন পুতুল, পাঁচ পুতুল, রাধা কৃষ্ণ ও দুর্গা সরা।
আরও পড়ুন: বন্ধ চা বাগান, কাজ নেই! দঁসাই পরবও হল না রায়মাটাংয়ে
পটশিল্পীদের মতে দুর্গা সরার চলন বেশি । সরার প্রধান বৈশিষ্ট্য লক্ষ্মীদেবী ও তার বাহন পেঁচা। শিল্পী শুভঙ্কর কুন্ডুর মতে, এই সরার মূলত বেশি চাহিদা উত্তরবঙ্গে। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, শিলিগুড়ি ও ধুপগুড়ি। লোকালয়ে চাহিদাও মোটামুটি ,কলকাতার দিকেও এই সরার পুজোর চলন আছে। এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার থেকে ১৬ হাজার সরার উপর চিত্র অঙ্কন করেছেন বলে দাবি করছেন নদিয়া জেলার তাহেরপুরে পটশিল্পীরা।
তাঁর মতে সরার চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে কিন্তু কারিগর কমে যাওয়ার ফলে তাদের খাটনি বেশি হলেও তাদের মুনাফা অধিক হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন ১২ মাস এই শিল্পের চাহিদা না থাকলেও দুর্গা পুজোর প্রায় ৬-৭ মাস আগে থেকে তাদের চাহিদা বেড়ে যায়। তিনি হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন, তবে বর্তমানে পটচিত্র একেই জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।
Mainak Debnath