দিগ্বিজয় মাহালি, পিংলা: ধান চাষের জমিতে নাড়া পোড়ানো দণ্ডনীয় অপরাধ জেনেও, আইনের চোখে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিঘের পর বিঘে জমিতে নাড়া পুড়িয়ে চলেছে একাধিক ধান চাষী, ঠিক তেমনি পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার দুজিপুর এলাকায় এক কৃষিজীবীর নাড়া পোড়ানোর কাজে অনিয়ন্ত্রণ আগুন ছড়িয়ে একাধিক বিঘা ফসল ভস্মীভূত হওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ওই ঘটনায় প্রায় আড়াই বিঘা ধান, আশপাশের নেটসাব ও জলনিয়ন্ত্রণ পাইপসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
advertisement
অভিযোগকারী শ্রীহরি টুডু জানিয়েছেন, তিনি অত্যন্ত একজন দারিদ্র্য ভাগ চাষী, পাশের গ্রাম থেকে এসে দুজিপুর এলাকায় ভাগে ধান চাষ করেছিলেন প্রায় তিন বিঘে, কিন্তু আগুনে পুড়ে তিনি সর্বশান্ত, কিভাবে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। দুজিপুর এলাকায় অনুপ মাইতি নামে এক ব্যক্তি, নাড়া পুড়াতে গিয়ে আমার তিনবিঘে জমির ধান পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি চায় পুড়ে যাওয়া ধানের ক্ষয়ক্ষতি ফিরিয়ে দিক অনুপ মাইতি। অন্যদিকে অভিযোগকারী কুশধ্বজ দোলাই বলেছেন, “অনুপ মাইতি তার নিজের ধানজমিতে নাড়া পুড়োয়, সেই সময় মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়ে পরে একাধিক ধান জমিতে। আমার রাজনী ফুলের জমির প্রায় ৯০০ ফুট জলনির্গমন পাইপ, নেটসাব সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা ক্ষতিপূরণ চাই এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা দাবি করছি।”
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শীতল কুমার ওঝা জানান, “আগুন দ্রুত ছড়িয়ে প্রায় ২০০ বিঘা এলাকায় এক চাষী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ব্যাপক উত্তরের হাওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়নি। আমরা প্রশাসনের কাছে ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছি।”
এদিকে অভিযুক্ত অনুপ মাইতি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি আগুন ধরাতে যাইনি—এমন কোনও কাজ আমার থেকে হয়নি। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, পুলিশের তদন্তেই পরিষ্কার হবে।”
