প্রথম জীবনে তাঁর কাছে জাদুশিল্প শেখার কোনও সুযোগ ছিল না। টানাটানির সংসারে পড়াশোনার পাশাপাশি পত্র-পত্রিকা দেখে নিজেই জাদুবিদ্যায় হাতেখড়ি নেন। খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক জাদুকরের কাহিনী পত্রিকায় পড়ে শেখেন বিভিন্ন কৌশল। এরপর ধাপে ধাপে তিনি পেশাদার কোর্সও সম্পূর্ণ করেন।
আরও পড়ুনঃ বজবজে উপচে পড়ল ভিড়! আবার এসেছে…! দেখতে যাবেন নাকি?
advertisement
নিজের অক্লান্ত পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও অসীম ভালোবাসার জোরে ফারুক আহমেদ আজ বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাদুকর হিসাবে পরিচিত। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে, শহর থেকে গ্রামঞ্চল, প্রায় প্রতিটি স্টেজেই তাঁর উপস্থিতি দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, ঈদের উৎসব কিংবা অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর জাদু দেখার জন্য ভিড় জমে যায়। মঞ্চে তিনি শুধু ‘ম্যাজিশিয়ান’ নন, তিনি বিনোদনের জাদুকরও।
‘মিস্টার ফ্যান্টাসিকো’র রোমহর্ষক ম্যাজিক উপস্থাপনা দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি মেলবন্ধন তৈরি করে। তাঁর অভিনব জাদুর কৌশল মানুষকে এক মুহূর্তে চমকে দেয়, আবার পরের মুহূর্তেই আনন্দে ভরিয়ে তোলে। রঙ্গমঞ্চে ম্যাজিশিয়ান ফ্যান্টাসিকোর হাসি যেন সবাইকে মোহিত করে তোলে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে জাদুশিল্প যখন ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছিল, তখন জয়নগরের ‘মিস্টার ফ্যান্টাসিকো’ নতুন প্রজন্মের কাছে আবার সেই শিল্পকে ফিরিয়ে আনছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছে থাকলে পথ তৈরি হয়। শুধু পত্র-পত্রিকা থেকে ম্যাজিক শুরু করে আজ বাংলার সর্বত্র তাঁর জয়জয়কার। বর্তমানে তিনি বাংলার সাংস্কৃতিক মঞ্চ কাঁপিয়ে দিচ্ছেন। আজ পর্যন্ত তিনি কয়েক শতাধিক স্টেজ প্রোগ্রাম করেছেন। ‘মিস্টার ফ্যান্টাসিকো’ অচিরেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরেও নাম কুড়োবেন, আশা ভক্তদের।