সঙ্গীতার সংগীত চর্চার নেপথ্যে রয়েছে তাঁর বাবার শখ। শৈশব থেকে বাবা-মা মেয়েকে সংগীত জগতে প্রতিষ্ঠিত করতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। বর্তমান সময়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনও সহযোগিতা করে চলেছেন বলেই জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনা! লাইনচ্যুত ২ টি ট্রেন, শালিমার ও সাঁতরাগাছি স্টেশনার মাঝেই বিপত্তি
advertisement
তখন সাত বা আট বছর বয়সে বাবা-মায়ের ইচ্ছায় গান শেখা শুরু। লোকসংগীতের প্রতি রয়েছে তার বিশেষ আকর্ষণ। তারপর যত সময় গড়িয়েছে সংগীতের প্রতি মনোযোগ বেড়েছে। হাওড়া জেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে থাকে। বিশেষত ভাওয়াইয়া, ঝুমুর, গম্ভীরা, পল্লীগীতি, ভাটিয়ালি প্রভৃতি মানুষের জীবন যন্ত্রণা ও সুখ-দুঃখ নির্ভর লোকগানের পসরা নিয়ে সঙ্গীতা সংগীত সাধনায় মেতে রয়েছে। সংসারের দায়িত্ব সামলেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মঞ্চে তাঁর পারদর্শীতা ফুটিয়ে তুলেছে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দফতর আয়োজিত রাজ্যস্তরীয় প্রতিযোগিতায় একক লোকসংগীত বিভাগে ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করে কৃতিত্বের সঙ্গে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে সঙ্গীতা। তাঁর সাফল্যে খুশি পরিবার পরিজন থেকে হাওড়ার মাজু অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিবেক চেতনা ও সুভাষ উৎসবে এই বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে সে।
পুরস্কার,মেডেল ও সাম্মানিক অর্থ পেয়ে আপ্লুত এই গৃহবধূ। সঙ্গীতা বলেন–“এই সাফল্য দর্শকদের কাছে আমার প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিল। সংগীত চর্চার শৈলীকে উন্নত করার দায়িত্ব বেড়ে গেল। ছোটবেলা থেকে বাবা আমাকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।” বর্তমানে সঙ্গীতা লোকসংগীতের পাশাপাশি শাস্ত্রীয় ও ধ্রুপদী সংগীতের চর্চায় রত।
রাকেশ মাইতি





