বোর্ডের প্রধান হিসেবে মনোনীত হন নির্দল প্রার্থী। পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার পর বিকেলে সিপিআইএম-এ যোগদান করেন ওই নির্দল প্রার্থী। আর তাতেই বিপাকে পড়েছে সিপিআইএম ও নির্দল সমর্থিত বিজেপির ওই পঞ্চায়েত বোর্ড।
advertisement
নির্দল ও সিপিআইএমকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি সিদ্ধা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ছিল ১৭ টি। যার মধ্যে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে যায় ৮ টি। বিজেপির দখলে যায় ৭ টি। এবং একটি করে আসনে সিপিআইএম ও নির্দল প্রার্থী জয় লাভ করে। আসন সংখ্যার দিক থেকে কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেনি এই সিদ্ধা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। সিদ্ধা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি নির্দল ও সিপিআইএমের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে। নির্দল প্রার্থী নৌরিন সুলতানাকে প্রধান ও বিজেপির উপপ্রধান স্মৃতিধর চক্রবর্তীকে নির্বাচিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘চাপে আছি বাবা এসো, মা এসো’! শেষ ফোনে বলেছিল যাদবপুরের স্বপ্নদীপ
সিপিআইএমের পক্ষ থেকে নির্দল প্রধানকে সমর্থন করে। সব মিলিয়ে বিজেপি সিপিএম ও নির্দলকে সঙ্গে নিয়েই পঞ্চায়েত দখল করে। শাসক দল তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাম বাম নির্দল মিলে সিদ্ধা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা পরেই সন্ধ্যায় কোলাঘাটে সিপিআইএম দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় সিপিআইএম নেতা রবিন দেবের উপস্থিতিতে সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির হাত ধরে সিপিআইএমে যোগদান করেন নির্দলের পঞ্চায়েত প্রধান। নির্দল থেকে সিপিআইএমে যোগদান করার পর পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘সিপিআইএমের আদর্শকে শ্রদ্ধা করি সে জন্যই সিপিআইএমে যোগদান।’ তবে এ বিষয়ে বিজেপি কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
Saikat Shee