পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন আয়েসা বেগম (৭৫) ও রুপেয়া মল্লিক (৩৪)। বছর ৪৫ বয়সী জখম ব্যক্তির নাম জাকির মল্লিক। আয়সা বেগমের বাড়ি রায়না থানার বহরমপুর গ্রামে। তাঁর মেয়ে হলেন রুপেয়া আর জামাই হলেন জাকির। জেলার জমালপুর থানার গ্রাম নশিপুরে জাকিরের বাড়ি।মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনায় দুই পরিবারেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
advertisement
আরও পড়ুন - কালচিনি চা বাগানের গুদামলাইন থেকে উদ্ধার হল বিশালাকার অজগর, দেখে নিন
জাকিরের পরিবার সদস্যরা জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে মেয়ে রুপেয়ার শ্বশুরবাড়ি নশিপুরে আসেন অসুস্থ আয়েসা বেগম। ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে তাঁকে নিয়ে এদিন জাকির ও তাঁর স্ত্রী রুপেয়া গিয়েছিলেন রায়নায়। সেখানে ইউএসজি পরীক্ষা করিয়ে একটি বাইকে চেপে আয়েসা বেগম, রুপেয়া ও জাকির জামালপুরের গ্রাম নশিপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে বোকড়ার ঢাল এলাকায় একটি চারচাকা গাড়িকে পাস কাটিয়ে যাবার সময়ে বিপরিত দিক থেকে আসা বেসরকারী যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বাইকের ধাক্কা লাগায় বাসের চাকার নিচে পড়ে যান বৃদ্ধা আয়েশা ও তাঁর মেয়ে রুপেয়া।
আরও পড়ুন - জমিদাতাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করা হবে দাবি সুকান্ত মজুমদারের
বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। একই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন জাকির মল্লিক। খবর পেয়ে রায়না থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায়। স্থানীয়দের সাহায্যে নিয়ে পুলিশ জখম জাকির মল্লিককে রায়না হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থাকায় জাকির কে দ্রুত রায়না হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
জাকিরের প্রতিবেশী হাসিনা মল্লিক বলেন, মর্মান্তিক এই ঘটনায় তাঁদের গ্রামের সকল মানুষ শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। জাকির মল্লিক বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি যাতে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন সেই প্রার্থনাই এখন করছেন গ্রামবাসীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আটক করা হয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস ও বাইক। ময়নাতদন্তের জন্য দুটি মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে।
Malobika Biswas






