TRENDING:

East Burdwan News: অস্ট্রেলিয়া-ফ্রান্সেও পেয়ে যাবেন গ্রাম বাংলার বিখ্যাত 'মোড়া', জনপ্রিয়তাও রয়েছে প্রচুর

Last Updated:

East Burdwan News: বাবার কাছে কাজ শিখে কলকাতা এবং বিভিন্ন জায়গায় কাজ সাপ্লাই করি । মোড়া তৈরি করি , ৩৫ বছর ধরে এই কাজ করছি । কলকাতা থেকেও অর্ডার হয়ে আমার হাতের জিনিস সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ইটালী গেছে ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান, আউশগ্রাম: আউশগ্রাম-২ নম্বর ব্লক পূর্ব বর্ধমানের জঙ্গলমহল এলাকা হিসাবে পরিচিত। রাস্তার দু’ধারে সারি দিয়ে শাল পিয়ালের জঙ্গল। এই এলাকার মানুষজন হাতের কাজের উপরেই বেশিরভাগ নির্ভরশীল। সেরকমই আউশগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের এড়াল অঞ্চলের স্বর গ্রামের ডোমপাড়ায় গেলেই সারাদিন খুটখাট আওয়াজ শোনা যায়৷ এখানেই বসার জন্য বাঁশের তৈরি মোড়া শিল্পীদের বসবাস। পূর্বপুরুষের হাত ধরেই দীর্ঘদিনের মোড়া শিল্পকে আজও টিকিয়ে রেখেছেন ২০ থেকে ২২ টি পরিবার। এই শিল্পীদের মধ্যেই একজন শিল্পী আছেন যার তৈরী মোড়া দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বিদেশের মাটিতেও।
advertisement

এই প্রসঙ্গে মোড়া শিল্পী নীতিশ ঘরুই জানান , ‘আমার গ্রামের নাম স্বরগ্রাম। আউশগ্রাম ২ ব্লক , থানা আউশগ্রাম। আমি ১৭ বছর বয়স থেকে আমার বাবার কাছে কাজ শিখে কলকাতা এবং বিভিন্ন জায়গায় কাজ সাপ্লাই করি । মোড়া তৈরি করি , ৩৫ বছর ধরে এই কাজ করছি।’ তবে নীতিশ ঘরুই শুধু মাত্র তার বাবার কাছে না, কাজ শিখেছেন আরও বিভিন্ন জায়গায় । নীতিশ প্রথমে তার বাবার কাছে এই কাজ শিখেছে এবং তারপর আগরতলা, ত্রিপুরা, কটক, পুরি এই সমস্ত জায়গায় কাজ শিখেছে ।

advertisement

আরও পড়ুন: স্কুলের মধ্যেই শিক্ষিকাকে হামলা শিক্ষকের! কাউন্সিলর স্ত্রীর নাম তুলে হুমকি!

আরও পড়ুন: মগরাহাটে বাড়ির কাছেই কুপিয়ে গুলি করে খুন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীকে! গুলিবিদ্ধ প্রতিবেশীকেও

View More

এই প্রসঙ্গে নীতিশ আরও জানায়, ‘কালারফুল মোড়া তৈরি করি । কলকাতার দুটো সংস্থার সঙ্গে এখন কাজ করি । বর্ধমানের নন্দিনী মেহেতাব নামে একজন প্রথম আমাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে যোগাযোগ করে দেয়। আমি ভারতবর্ষের সমস্ত স্টেটে হস্ত শিল্পের মেলা করি । আবার কলকাতা থেকেও অর্ডার হয়ে আমার হাতের জিনিস সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ইটালী গেছে ।’

advertisement

নীতিশ আরও জানিয়েছে এই মোড়া সে নিজে তৈরি করে এবং তার আরও কর্মচারী আছে। নীতিশ জানিয়েছে, আগে ইনকাম প্রচুর হত, তবে লকডাউন এর পর থেকে ইনকা টা কমে গেছে । বর্তমানে তাও মাসে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম হয় । আগে যখন প্রথম বাইরে মোড়া যেত তখন ২০০ টাকা দাম পাওয়া যেত এখন আস্তে আস্তে দাম বেড়ে ১০০০ টাকা হয়েছে । বর্তমানে কলকাতার দিকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত এই মোড়ার দাম পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে মোড়া শিল্পী নীতিশ ঘরুই।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

Bonoarilal Chowdhury

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
East Burdwan News: অস্ট্রেলিয়া-ফ্রান্সেও পেয়ে যাবেন গ্রাম বাংলার বিখ্যাত 'মোড়া', জনপ্রিয়তাও রয়েছে প্রচুর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল