হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের দাবি, “বর্তমানে মানুষ আগের তুলনায় অনেকটাই সচেতন হচ্ছে। এর ফলে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে বিকল্প জিনিস হিসাবে বেতের তৈরি জিনিসগুলিকে আপন করে নিচ্ছে। পাশাপাশি এই বেত দিয়ে তৈরি দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিস সহ ঘর সাজানোর আকর্ষণীয় বেতের সামগ্রী টেকসই ও মজবুত হবার ফলে বাড়ির মহিলারা আকর্ষিত বেশি হচ্ছে। দেশের পাশাপাশি বেতের তৈরি এইসব জিনিসের চাহিদা আছে বিদেশের বাজারেও।”
advertisement
আরও পড়ুন: ক্যানসার থেকে হাড়ের ক্ষয় আটকে দেয়! বহু জটিল রোগের মহা-ওষুধ জলপাই! জানুন
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ চলে গেলে ভরসা মোবাইলের আলো! চরম অবস্থায় কাটছে গ্রামীণ হাসপাতালের রোগী ও আত্মীয়দের
অত্যাধুনিক যুগে কাঠের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্র সকলের বাড়িতে জায়গা দখল করে নিলেও এখনও গ্রামবাংলায় অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে বাড়ির জিনিসপত্র মাপা কিংবা ওজন করতে ধামা অথবা কাঠার প্রচলন রয়েছে। তবে এখনও বহু শিল্পী বেত দিয়ে জিনিসপত্র তৈরি করে বাপ-দাদার শিল্পকে ধরে রেখেছেন। এখনও গ্রামগঞ্জের মেলাতে গেলে লক্ষ্য করা যায় তাদের হাতে তৈরি সুন্দর নিখুঁত জিনিসপত্রগুলি ঘরের শোভা বর্ধন থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজেই তাদের জিনিসপত্রগুলি প্রয়োজন হয়ে থাকে। বেত দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিসগুলো পরিবেশ বান্ধব হওয়ার পাশাপাশি এখন শহরের একাধিক মহিলাদের এই সমস্ত শিল্পীদের কাছ থেকে পাট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করবার হাতেখড়ি নিতে দেখা যাচ্ছে এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা।
সুস্মিতা গোস্বামী





