৩০ বছরের অভিজ্ঞ কারিগর সুরজিৎ সামন্তের কথায়, “আমরা ছোট গ্রাম থেকে এলেও, আমাদের কাজের গুণমান আজ বিশ্বে স্বীকৃত।” হার, বালা, আঙটি, কানের দুল প্রতিটি গয়নায় দাসপুরের কারিগরদের নিখুঁত হাতের ছোঁয়া। শুধু সোনা নয়, রুপো ও তামার কাজেও সমান দক্ষ তারা। বহু কারিগর এখন শহরের নামী সংস্থা ও রফতানি ক্ষেত্রেও কাজ করছেন। মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া থেকে ইউরোপ বহু দেশে জুয়েলারি কারখানায় দাসপুরের শিল্পীরা নিয়মিত কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। কেউ শ্রম দিচ্ছেন, কেউ নতুন ডিজাইনের ভাবনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ শুধু পেশা নয় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া নিপুণ কৌশল। একসময় বাড়ির উঠোনেই বসত ওয়ার্কশপ। একজন শিখলে তিনজনকে শেখাতেন আজও সেই ধারার শেষ হয়নি। প্রবীণ কারিগর স্বপন বাগ বলেন, “এই হাতের কাজই আমাদের বাঁচিয়েছে। এটিই আমাদের গর্ব।”
advertisement
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার আদিবাসী ঐতিহ্যকে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দিতে বড় উদ্যোগ! খুশিতে ডগমগ আদিবাসীরা
তবে চ্যালেঞ্জও এসেছে। মেশিনে তৈরি গয়নার প্রতিযোগিতা, স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধি, মার্কেটিংয়ের অভাব। টিকে থাকার লড়াই আজ কঠিন। তাই অনেকে কাজের খোঁজে শহরে বা বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন। তবুও পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এখনও সোনার শিল্পের এক শক্ত ঘাঁটি। নতুন প্রজন্ম এগিয়ে এসেছে CAD মডেলিং, ডিজাইন কোর্স ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঐতিহ্যকে ধরে রেখে তারা হাঁটছে আধুনিকতার পথে। দেশের শীর্ষ গয়না প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অরম চেইনের মালিক এস এস আলমের বিশ্বাস, “দাসপুর আবার গৌরব ফিরে পাবে শুধু সুযোগ ও প্রশিক্ষণ দরকার।”





