নদীর পলি জমে মাটির গুণগত মান চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকেরা জানাচ্ছেন, আগে যেখানে শতভাগ জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হত, এখন সেখানে মাত্র ২৫ ভাগ সার দিলেই দারুণ ফলন হচ্ছে। বিশেষত আলু ও রবিশস্য চাষে পলিযুক্ত মাটির ফলন দেখে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। ধ্বংসের মধ্যেই যেন নতুন জীবনের আভাস খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি-হলদিবাড়ি-মালবাজার, ঘন ঘন বাস পরিষেবায় স্বস্তি যাত্রীদের
কয়েকদিন আগের বন্যা সব কেড়ে নিলেও তারই রেখে যাওয়া পলিতে এখন জীবনের নতুন বীজ বুনছেন চাষিরা। কেউ জমিতে সেচের কাজ শুরু করেছেন, কেউ আবার জমির উপরের পলিকে মাটির গভীরে মিশিয়ে দিচ্ছেন। স্থানীয় কৃষক পরেশ বর্মন জানালেন, “তিস্তার পলি যেন ঈশ্বরের আশীর্বাদ। আগের মতো সার দিতে হচ্ছে না, ফসলও ভাল হচ্ছে। এবার শীতের চাষে ভরসা ফিরে পেয়েছি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রকৃতির এই পরিবর্তনই যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে বন্যা যতই ভয়াবহ হোক, যতই কেড়ে নিক; ফিরিয়েও দেয় তার অনেক বেশি। আসলে নদী শেষ পর্যন্ত জীবনও দেয়। তিস্তাপাড়ের এই পুনর্জাগরণ যেন উত্তরবঙ্গের কৃষিজীবনের এক নতুন অধ্যায় রচনা করছে।





