টোটো চালক সমীর দে জানান, “আগে এখানে প্রতি মাসে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করতে আসতেন। সেখানে এখন সেই সংখ্যা অনেকটা কমেছে। পরিকাঠামোগত নানা সমস্যা থাকার কারণে কাজ করতে গিয়ে রীতিমত অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় এখানের কর্মীদের। তাই বর্তমান সময়ে ধুঁকতে শুরু করেছে এই জায়গাটি।” এই সংস্থার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জানান, “তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি থাকলেও পরিকাঠামো গত নানা কারণে তাঁরা সেটিকে ব্যবহার করতে পারছেন না। এর মূল কারণ হল পর্যাপ্ত অর্থের কোনও যোগান না থাকা দীর্ঘ সময় ধরে।”
advertisement
আরও পড়ুন: পোষ্য কুকুরের বমি-ডায়রিয়া, ওজন কমছে? ভয়ঙ্কর রোগের শিকার, সাবধান
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জেলার এক ইতিহাস অনুসন্ধানী সুবীর সরকার জানান, “বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি অবহেলার কারণে রীতিমত খারাপ পরিস্থিতি এখানে। রাজ্য সরকারের হয়ত এই সংস্থাটিকে সরকারের আওতায় নিয়ে নেওয়া উচিত। তবেই ক্যান্সার সেন্টারের অন্ধকার আকাশে কিছুটা আশার ফুটে উঠবে। এখন বর্তমানে বেসরকারিভাবে চলছে এই জায়গাটি। ফলে লোকজন খুবই কম আসছেন এখানে। কিন্তু যদি সরকারি ভাবে এর কাজ দেখভাল হয়। তবে পরিকাঠামোর উন্নতি হবে আরও অনেক মানুষ আসবেন চিকিৎসা করাতে।”
বর্তমানে জায়গাটিকে ঘিরে একাধিক আশার আলো দেখছেন জেলার এবং উত্তরবঙ্গের মানুষেরা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই জায়গাটির সঠিক সুরাহা হয়ে উঠতে পারেনি। তবে অদূর ভবিষ্যতে যদি এই জায়গাটির সরকারীকরণ সম্ভব হয়। তবে বহু ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের অনেকটা উপকার হবে। জেলার মানুষদের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু মানুষ এই জায়গাতে আসতে পারবেন চিকিৎসা করাতে।
Sarthak Pandit





