খুব সাধারণ পরিবারের মেয়ে মৈত্রী। বাবা একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী, মা গৃহবধূ। সংসারের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও মেয়ের প্রতিভা বিকাশে কখনও কমতি রাখেননি তারা। সাড়ে চার বছর বয়স থেকেই শুরু হয় মৈত্রীর সংগীতচর্চা। সকালবেলা নিয়ম করে দেড় ঘণ্টা রেওয়াজ করে সে। গানই তার জীবনের প্রেরণা।
আরও পড়ুন: SIR শুরুর আর কয়েক ঘণ্টা…! ‘বয়স’ অনুযায়ী আপনার কী কী ‘নথি’ লাগবে? সম্পূর্ণ তালিকা দেখুন
advertisement
মৈত্রীর প্রিয় শিল্পী কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর। তার গাওয়া গান শুনে অনুপ্রেরণা পায় মৈত্রী। টেলিভিশনের প্রিয় অনুষ্ঠান সারেগামাপা। প্রিয় গান — ময়না বলো তুমি কৃষ্ণ রাধা। সেই গানে যখন মৈত্রী সুর তোলে, চারপাশের মানুষ মুগ্ধ হয়ে শোনে। তার কণ্ঠে যেন মিশে থাকে নিষ্পাপ অনুভব আর অদ্ভুত প্রশান্তি।
আরও পড়ুন: ভারতের ‘৫০০ টাকা’ চিনে গেলে কত হয়ে যাবে জানেন…? কতটা কমবে-বাড়বে জানুন হিসেব!
সম্প্রতি ধূলাগড় ট্রাফিক গার্ড, হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে ছোট্ট মৈত্রীর প্রতিভাকে সম্মান জানিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। উপস্থিত সকলেই প্রশংসায় ভরিয়ে দেন এই ক্ষুদে শিল্পীকে। মৈত্রীর মা বলেন, ও যেন বড় হয়ে এক জন নামী সঙ্গীত শিল্পী হয় এটাই তাঁর স্বপ্ন। ওর চোখে আলো নেই, কিন্তু ওর কণ্ঠই ওর আলো।
দৃষ্টিশক্তিহীনতা নয়, অদম্য ইচ্ছাশক্তিই আজ মৈত্রীর সবচেয়ে বড় শক্তি। সে প্রমাণ করেছে,শরীরের সীমাবদ্ধতা থাকলেও মনের ডানায় ভর করে যে কেউ পৌঁছে যেতে পারে স্বপ্নের আকাশে। হাওড়ার এই ছোট্ট মৈত্রী আজ সুরের ছোঁয়ায় জাগিয়ে তুলছে আশা, সাহস আর আলোয় ভরা এক নতুন সকাল।
রাকেশ মাইতি





