বালুরঘাট পুরসভা সূত্রে খবর, বালুরঘাট শহরে দুইটি বড় শ্মশান রয়েছে। একটি খিদিরপুর এবং আরেকটি বালুরঘাটের চকভবানী শ্মশান কালীবাড়ি এলাকায়। বিগত পুর বোর্ডের আমলে বালুরঘাটের খিদিরপুরে ইলেকট্রিক চুল্লি বসানো হয়েছে। তবে ওই চুল্লি ঘিরে নানা অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ইলেকট্রিক চুল্লি খারাপ হয়েছিল। বর্তমান পুরবোর্ড ওই চুল্লিটি প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে নতুন করে চালু করেছে। ওই চুল্লিতে মৃতদেহ সৎকারের চাপ এতটাই যে মাঝেমধ্যে তা বিকল হয়ে যায়। ফলে মৃতদেহ নিয়ে আসা আত্মীয় পরিজনদের বেশ হয়রানির শিকার হতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : গুনে গুনে শেষ করতে পারবেন না, জগদ্ধাত্রী পুজোয় অশোকনগরে ‘ধামাকা’! আপনার জন্য রইল গাইডম্যাপ
অপরদিকে, শহরে দিনদিন জনবসতি বেড়ে চললেও চকভবানি এলাকায় এতদিন কাঠেই দেহ সৎকার করা হত। বাসিন্দাদের তাই দীর্ঘদিন ধরেই দাবি ছিল, বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু হোক। তাতে সৎকার যেমন দ্রুত হবে, তেমনই দেহ দাহ করার ধোঁয়া থেকেও পরিবেশ বাঁচবে। তাই বিকল্প হিসেবে শ্মশান কালীবাড়ি এলাকায় ওই ইলেকট্রিক চুল্লি তৈরি করবে পুরসভা।
আরও পড়ুন : ভাঙন রোধে এবার কোমর বেঁধে মাঠে নামছে রাজ্য সেচ দফতর, মালদায় বড় পরিকল্পনা! ঘুরে গেলেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার
এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানান, খিদিরপুর শ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি রয়েছে। এবার চকভবানী শ্মশান কালীবাড়িতেও ইলেকট্রিক চুল্লি বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে। ওই চুল্লির জন্য অনুমোদন মিলেছে। প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে। শহরে বিকল্প ইলেকট্রিক চুল্লি হলে পরিষেবা শহরবাসীকে আরও ভালভাবে দেওয়া যাবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ইতিমধ্যেই শ্মশান কালীবাড়ি এলাকায় পরিকাঠামো মজুত রয়েছে। শ্মশানের পাশেই রয়েছে একটি শিশু উদ্যান। তবে রাজ্য পুর দফতর শহরবাসীর দাবি পূরণে চকভবানি মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিন চুল্লি বসানোর জন্য অনুমোদন দেয়। ফলস্বরূপ, দেহ সৎকারের সময় যে ধোঁয়া নিষ্কাশন হবে, এবার তা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পরিশ্রুত করে চুঙ্গির মাধ্যমে উপরে উঠে যাবে। এই ইলেকট্রিক চুল্লি চালু হলে বালুরঘাট শহর এবং তার আশেপাশের অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে।





