মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি নজরদারি চালানোর জন্য পুলিশ কর্মী মোতায়নের পরিকল্পনা নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে জেলা পুলিশকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাও হয়। কিন্তু জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনরকম পুলিশ কর্মী মোতায়ন করা হয়নি মনিটরিং রুমগুলিতে। ফলে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলির নজরদারি সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ আলাদা করে এজেন্সির মাধ্যমে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগের চিন্তাভাবনা করছে। কারণ নিয়মিত সিসিটিভির নজরদারি না চালালে কোথাও কোন ঘটনা ঘটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা বোঝা সম্ভব হয়ে উঠবে না।
advertisement
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমএসভিপি প্রসেনজিৎ বর বলেন, “সিসিটিভি বাড়ানো হয়েছে। তিন জায়গায় মনেটারিং সিস্টেম রয়েছে। তবে নজরদারি চালানোর জন্য পুলিশ কর্মী মোতায়েনের জন্য বলা হয়েছিল জেলা পুলিশকর্তাদের। পুলিশের পক্ষ থেকে কোন কর্মী দেওয়া হয়নি। এজেন্সির মাধ্যমে আমরা কর্মী নিয়োগের চিন্তাভাবনা করছি।”
আরও পড়ুন: খরচ তুলনামূলক কম, লাভ হচ্ছে দ্বিগুণ ! দেখে নিন কী করে সম্ভব
এদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক প্রতিনিধি দল এসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কোথাও কোন খামতি রয়েছে কিনা সে বিষয়গুলো ঘুরে দেখেন তাঁরা। সিসিটিভি মনিটরিং করার জন্য কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি হাসপাতালের সমস্ত বিভাগ ওয়ার্ডগুলির চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী এমনকি রোগীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলিও খতিয়ে দেখেন। হাসপাতাল চত্বরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে কিনা সে ব্যবস্থাগুলিও খতিয়ে দেখেন তাঁরা। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রাখা প্রতিনিধি দল এসেছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে গেলেন।
আরও পড়ুন: রাজ্য চ্যাম্পিয়ন মালদহের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র, জাতীয় প্রতিযোগিতায় পেলেন সুযোগ
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রায় সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে কিছুটা হলেও স্বস্তি প্রকাশ করেন তাঁরা। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইতিমধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা বাড়ানোর পাশাপাশি বৃদ্ধি করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী সংখ্যা।
হরষিত সিংহ