প্রথম অবস্থায় খড়ের ছাউনি দিয়ে মায়ের মন্দির তৈরি করে এই শ্মশান মায়ের পুজো শুরু হয়। সেই পুজো এ বছর ১৭৪ তম বছরে পদার্পণ করল। বর্তমানে এই শ্মশান মায়ের পুজো দেখতে প্রতিবছরই বহু ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে। জানা যায়, অবিভক্ত দিনাজপুরে এই আত্রেয়ী নদীর ওপর ভর করেই চলত ব্যবসা-বাণিজ্য। আর এই বাণিজ্য করতে বহু দূর দূরান্তের মানুষ এখানে আনাগোনা ছিল। এই শ্মশান মায়ের সংলগ্ন আত্রেয়ী নদীর বালুচরে দূর দেশ থেকে আগত ব্যবসায়ী কিংবা নৌকা চালকরা রান্নাবান্না করে এই বালুচরে বিশ্রাম করতেন, আর এই বালুচরে শবদাহ করা হত।
advertisement
আরও পড়ুন : এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ উদ্যোক্তারা! কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবেন? রইল শিলিগুড়ির সেরা কালীপুজোর তালিকা
পরবর্তীকালে এটি শ্মশানের রূপ নেয়। পরবর্তীতে এই এলাকায় শ্মশান মায়ের পুজো শুরু হওয়ার পর বহু সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়। প্রতিবছর দীপান্বিতা অমাবস্যায় পাঠা বলি ও বোয়াল মাছ ভাজা দিয়ে তান্ত্রিক মতে মায়ের পুজো হয়ে আসছে। এমনকি, প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতেও দেবীর পুজো হয়ে থাকে। এদিন নারায়ণ সেবা করা হয় কমিটির পক্ষ থেকে। বর্তমানে কংক্রিটের পাকা মন্দির তৈরি করে শ্মশান কালী মাতার নিত্য পুজো শুরু হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এমনকি, রীতি অনুযায়ী আজও এই প্রতিমা তৈরির মৃৎশিল্পী কাঠামো পুজোর পর স্নান সেরে নিরামিষভোজী হয়ে মায়ের মূর্তি তৈরিতে কাজে লাগেন। বর্তমানে এই পুজো এলাকার মধ্যবয়সী ৫০-৬০ জন ব্যক্তির দ্বারা সম্পন্ন হয়ে আসছে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবা মূলক কাজ ও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেবীর অপার মহিমা আজও কখনও কাউকে নিরাশ করে না।