আরও পড়ুন Bengal News| Birbhum: যার সঙ্গে বিয়ে গিয়েছিল আটকে, সেই পাত্রীর গলাতেই ফের মালা দিলেন যুবক!
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বছর ভাঙড় (Bhangar, Bengal) দু নম্বর ব্লক এলাকায় দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪৫ হাজার পরিবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁর মধ্যে ৪১ হাজার কার্ডের ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর বা ইউ আর এন তৈরি হয়েছিল। যার মধ্যে ২৪ হাজার কার্ড এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। এবছর দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের (Duare Sarkar) মাধ্যমে নতুন করে কুড়ি হাজার পরিবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, নতুন ও পুরানো মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে পুজোর আগে সমস্ত কার্ড যাতে তৈরি করা সম্ভব হয়।
advertisement
এই বিপুল সংখ্যক কার্ড তৈরি করার জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিশেষ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শানপুকুর ও বেওতা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়, ক্যাম্প করে কার্ড প্রদান চলছে। শানপুকুরের ক্যাম্পটি চলছে চিনাপুকুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। এদিন সেই ক্যাম্পেই শাতধিক মানুষ ভিড় করেন কার্ড তৈরির জন্য।
শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তানিয়া বিবি বলেন, ‘এদিন কর্মীরা এত দুর্যোগের মধ্যে ক্যাম্প করেতে চাননি। বলে এই বৃষ্টিতে কোন মানুষ আসবেন না। আমি বলি শিডিউল অনুযায়ী ক্যাম্প হবে যতজন আসবেন ততজনকে পরিষেবা দিতে হবে। কিন্তু আমাদের অবাক করে দিয়ে প্রায় শাতধিক মানুষ ক্যাম্পে আসেন।
কাশীপুরের গৃহবধূ অপর্ণা ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই বলে আমার লক্ষ্মী ভান্ডার কার্ড হয়নি। কার্ড করার জন্য আজকে আমার শিডিউল পড়েছে। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই স্বামী ও মেয়ের সাথে কার্ড করতে চলে এলাম।‘ অপর গৃহবধূ রুবিনা বেগম বলেন, ‘এই কার্ডের জন্য কত মানুষ বিনামূল্যে অপারেশন করাতে পারছেন। তাই দুর্যোগ উপেক্ষা করে চলে এলাম।‘ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প গুলি এভাবেই যে বাস্তব রূপ পাচ্ছে, তা স্পষ্ট।
রুদ্র নারায়ন রায়