Bengal News| Birbhum: যার সঙ্গে বিয়ে গিয়েছিল আটকে, সেই পাত্রীর গলাতেই ফের মালা দিলেন যুবক!
- Published by:Pooja Basu
Last Updated:
আগের বার শেষ মুহূর্তে এসে আটকে (Birbhum news) যায় সেই বিয়ে। তার কারণ...
#বীরভূম : সিউড়ি (Birbhum News) এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত চাঙ্গুরিয়ার দাসপাড়ার সুপ্রিয়া দাসের সঙ্গে গত এক বছর আগে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল সাউলডিহা গ্রামের তাপস দাস নামে এক যুবকের। বিয়ের দিনক্ষণ অনুযায়ী শুরু হয়েছিল সমস্ত আয়োজন। তবে শেষ মুহূর্তে এসে আটকে যায় সেই বিয়ে (Marriage)। বিয়ে না হওয়ার মূলে কারোর পছন্দ অথবা অপছন্দের বিষয় বা দেনা-পাওনার বিষয় ছিল না, কারণে ছিল পাত্রীর বয়স। পাত্রী তখনও ১৮ পার করেনি।
পাত্রী নাবালিকা, এই খবর পেয়ে চাইল্ড লাইনের সিউড়ি শাখার সদস্যরা এবং প্রশাসনিক কর্তারা ওই পাত্রীর বাড়িতে পৌঁছান। তারপর সেখানে পাত্রী এবং পাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তাদের বোঝান, (Minor) নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিলে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। সেই সকল সমস্যার কথা শুনে পাত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিয়ে বন্ধ করেন। বিয়ে বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে পাত্র পক্ষের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়, এক্ষুণি তাদের বিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
advertisement
advertisement
এরপর দেখতে দেখতে কেটে যায় এক বছরের বেশি সময়। ওই নাবালিকা পাত্রী প্রাপ্তবয়স্ক (adult) হয়ে ওঠেন। আর ওই পাত্রী আঠারোর গণ্ডি টপকাতেই বিয়ে হল পূর্বনির্ধারিত পাত্রের সঙ্গেই৷ দুজনের সম্মতিক্রমে। মঙ্গলবার রাতে তাদের দু’জনের শুভ পরিণয় হয় ধুমধাম করেই। এক বছর আগে যাদের চার হাত এক হওয়ার কথা ছিল তাদের চার হাত এক হল এদিন। আর প্রাপ্তবয়স্ক দুজনকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে খুশি পরিবারের সদস্য থেকে প্রশাসনিক কর্তারাও।
advertisement

এদিনের এই বিয়ের (Birbhum Marriage) অনুষ্ঠানে পাড়া-প্রতিবেশীদের নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করা হয় ওই সকল প্রশাসনিক ও চাইল্ড লাইনের সদস্যদের, যারা গত এক বছর আগে পাত্রী এবং পাত্রীর পরিবারের সদস্যদের চোখ খুলে দিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিমন্ত্রণ পেয়ে তারাও এদিন সুপ্রিয়ার বাড়িতে পৌঁছান এবং তাকে ফুলের তোড়া ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী দিয়ে আশীর্বাদ করেন৷ পাশাপাশি তারা এই ঘটনাকে দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা বলে মনে করে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে শপথ করান, 'নাবালিকার বিয়ে নয়'।
advertisement
কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ঈশিতা মন্ডল জানিয়েছেন, "আমরা কখনোই চাই না একজন নাবালিকার হোক। কারণ ওই বয়সে একজন মেয়ের শারীরিক এবং মানসিক কোন দিক দিয়েই ম্যাচুরিটি আসে না। সেই জায়গায় এই মেয়েটির খবর পেয়ে আমরা এসেছিলাম এবং পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এরপর আজ যখন এই মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠেছে সেই সময় তার বিয়ে হচ্ছে ধুমধাম করে। এটা দেখে আমরা সত্যিই খুশি। পাশাপাশি তারা যে আমাদের বার্তা বুঝতে পেরেছে তার মধ্য দিয়েই আমাদের কাজের সফলতা এসেছে।"
advertisement
মাধব দাস
view commentsLocation :
First Published :
September 22, 2021 9:37 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
Bengal News| Birbhum: যার সঙ্গে বিয়ে গিয়েছিল আটকে, সেই পাত্রীর গলাতেই ফের মালা দিলেন যুবক!